আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
মন্ত্রীর মতে, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এক সময় ইংরেজি তুলে দেওয়া এই আকর্ষণ কমার অন্যতম কারণ। সরকার মনে করে, স্কুলে ইংরেজি থাকা দরকার। তবে কোন ক্লাস থেকে ইংরেজি পড়ানো হবে, তা বিশেষজ্ঞরা বলবেন। এক হাজার সরকারি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা চালু করা মতো পরিস্থিতি রয়েছে। সেটা করাও হচ্ছে। এই স্কুলগুলিতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা থাকবে। এদিকে, শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাক প্রাথমিকেই যাতে ইংরেজির সঙ্গে ধাতস্থ হতে পারে খুদেরা, তার জন্য সিলেবাস কমিটির তরফে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবও জমা পড়েছে। ওই শ্রেণীতে বাচ্চাদের জন্য ওয়ার্কবুক তৈরি করা হোক, সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্কিম হাজরার এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৫০ হাজার ১০৮টি। সরকার ও শাসকদলের বিধায়কদের অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ২০৪৮টি প্রাথমিক স্কুলে ২০-র কম ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এই ধরনের উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৩৪, ৭৬ ও ১৪। বহু স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী কমে গেলেও যেখানে প্রয়োজন রয়েছে সেখানে নতুন সরকারি স্কুল খুলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের জটু লাহিড়ী বলেন, অনেক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ২০-র কম হয়ে গিয়েছে। অনেক স্কুল উঠে যাচ্ছে। এর কারণ কী? জবাবে শিক্ষামন্ত্রী স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করে আরও আকর্ষণীয় করা ও ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু মিড ডে মিলের ভরসায় স্কুল চালানো হবে না। স্কুলে জল, খেলাধূলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বেসরকারি উদ্যোগে রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গজিয়ে ওঠার প্রসঙ্গটি ওঠে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এব্যাপারে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ কিছু করণীয় নেই। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে স্কুলগুলি খোলা হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। প্রথমে মন্টেসারি স্কুল চালু করে, পরে সেখানে আইসিএসই, সিবিএসই থেকে ‘এনওসি’ নিয়ে উঁচু ক্লাসে পড়াশোনা শুরু করে দেওয়া হয়। অনেক সময় ওই সব স্কুলে ছাত্ররা দশম শ্রেণীতে উঠে যাওয়ার পর শিক্ষা দপ্তর বিষয়টি জানতে পারে। রাজ্যের শিক্ষা বোর্ড এই ধরনের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যাম স্কুলের অনুমোদন দেয় না বলে পার্থবাবু জানিয়েছেন।