আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার মূলত রাষ্ট্রীয় কৃষিবিকাশ যোজনায় হাঁস, মুরগি বিতরণ করে। রাজ্য সরকার ‘ব্যাকইয়ার্ড পোল্ট্রি ফার্মিং প্রোগ্রাম থ্রু ডিস্ট্রিবিউশন টু চিক অ্যান্ড ডাকলিং’ প্রকল্পে হাঁস ও মুরগি বিতরণ করে। প্রতি আর্থিক বছরের শুরুতে প্রতি জেলার ব্লকগুলি থেকে গ্রাহকদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু অনলাইনে আপলোড করার ব্যবস্থা ছিল না। গ্রাহকের নামের সঙ্গে যে কোনও একটি সচিত্র পরিচয়পত্র জমা দিলেই চলত। কিন্তু এবার এই নিয়মে আমুল বদল করেছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, অনলাইনে গ্রাহকের নাম ও আধার কার্ড নম্বর জমা করতে হবে। তারপর ভেরিফিকেশন করে গ্রাহকের নামে প্রাণী বরাদ্দ হবে। একইভাবে রাজ্য সরকারও জানিয়ে দিয়েছে, ডিজিটাল রেশন কার্ড সহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে অনেকের কাছেই ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই। তাঁদের জন্য পুরনো রেশন কার্ড ও আধার কার্ড নম্বর জমা দিতে হবে রাজ্য প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরে। সঙ্গে গ্রাহকের ফোন নম্বর দিতে হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই হাঁস-মুরগি গ্রাহককে বিলি করা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবার ফোন নম্বর বাধ্যতামূলক করেছে।
এবছর গড়ে প্রতিটি ব্লকে রাজ্য সরকারের প্রকল্পে দু’হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ গ্রাহককে মুরগির বাচ্চা, ১৫০ জনকে হাঁসের বাচ্চা ও ৪০ থেকে ৪৫ জনকে ছাগলের বাচ্চা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে প্রতিটি ব্লকে গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০টি করে মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে। সেইমতো গ্রাহকদের নামের তালিকা ও পরিচয়পত্র আপলোড করতে বলা হয়েছে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন, এতদিন এই প্রকল্পের সুবিধা আদৌ গরিব মানুষ পেতেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই আধার কার্ড ও ডিজিটাল রেশন কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফোন নম্বরও চাওয়া হয়েছে। কারণ এই মুরগি, হাঁস ও ছাগল বিলির পর জেলা বা রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ফোন করে জানতে চাওয়া হবে তাঁরা সেই সুবিধা পেয়েছেন কি না। প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন, এই নিয়ম চালু হওয়ায় গ্রাহকের কাছে সুবিধা অনেক ভালোভাবে পৌঁছনো সম্ভব হবে।