নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
কেমন চলছে হুগলির প্রচার? দেখা গেল, হুগলি স্টেশন থেকে যে পথ পিপুলপাতি মোড় হয়ে পুরসভার দিকে গিয়েছে, সেই রাস্তার দু’ধারে দেওয়াল, ফ্লেক্স, ব্যানারে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন রচনা। চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় লকেট যে নেই, তা নয়। তিনি যতটা দেওয়ালে আছেন, তার চেয়ে বেশি চোখে পড়েছে তাঁর ছোট ছোট কাগুজে পোস্টার। তাতে একেবারে অকিঞ্চিতকর হরফে লেখা— লকেটের সেরা সাংসদের স্বীকৃতি। বরং তাঁর চেয়েও প্রচারে বেশি এগিয়ে বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ। ‘মুখ নয়, অভিমুখের লড়াই’-এর মতো আঁতলামিতে ভরা সিপিএমের প্রচারের চালচিত্র। এখানে জিতবে কে? মুখের কথা কেড়ে ডিআই অফিসের কাছাকাছি থাকা এক দোকানির চটজলদি জবাব, ‘রচনা দিদি। এবার হাওয়া দিদি নম্বর ওয়ানের’। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস ফুৎকারে উড়িয়ে পাশে থাকা টোটো মালিকের আক্ষেপ, ফিল্মস্টার তো অনেক হল। আমাদের রোজগার বাড়ল কি?
সোমড়াবাজার রেল স্টেশন থেকে অসম রোডে ওঠার আগে পর্যন্ত জনবসতি দেখলে বোঝা যাবে না, শিয়রে ভোট। বরং অসম রোডের উপর কিছুটা প্রচারপর্ব চলেছে বাম ও তৃণমূলের। এই এলাকা বলাগড় বিধানসভার আওতায় পড়ে। টিভির ঘরোয়া গেম শো’র সঞ্চালিকা রচনা যতই জনপ্রিয় হন না কেন, এখানে তাঁকে লড়তে হবে নিজের দলের সঙ্গেই, বলছিলেন সোমড়াবাজারের এক দোকানি। তাঁর কথায়, এই বিধানসভা এলাকায় ঘরোয়া কোন্দল ঘাসফুলে। পরিস্থিতি এমনই, বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি নিজের গাড়িতে মাইক লাগিয়ে ইচ্ছামতো ঘুরে ঘুরে সিএএ’র বিরুদ্ধে প্রচার করছেন। তাঁর পাশে দলের কোনও নেতা নেই। এদিকে, ভোট টানতে কয়েকটি বুথে মাংস-ভাতের পিকনিক করছে তৃণমূল। তাতে আশপাশের বুথের লোকজন ক্ষেপে যাচ্ছে। নাটাগড়ের পার্টি অফিসে খোঁজ নিতে গেলে, তৃণমূলের সোমড়া এক নম্বর অঞ্চলের সভাপতি যজ্ঞেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, একমাস আগের রিপোর্ট, বলাগড়ে আমরা লিড দিতে পারব না। তবে এখন আমরা যে জায়গায় আছি, তাতে ১৫ থেকে ১৬ হাজারে জয় পাবে তৃণমূল। আর গোষ্ঠী কোন্দল? দলের আহ্বায়কদের তরফে কিছু সমস্যা ছিল। সেসব মিটে গিয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় এসে বলেছেন, ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়, আহ্বায়ক অসীম মাজি ও শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক মঞ্চে দেখে তিনি অভিভূত। এঁরা পুরনো দিনের সহযোদ্ধা ও দলের সম্পদ। তবে এখানকার দলীয় কর্তাদের ধারণা, পাণ্ডুয়া বিধানসভা এলাকা কিছুটা বেগ দিতে পারে। বাদবাকি চন্দননগর, সিঙ্গুর, ধনেখালি, সপ্তগ্রাম বিধানসভায় ভালো ফল করবে তৃণমূল।
বেহুলা পেরলে, গুপ্তিপাড়া এলাকায় দাপিয়ে প্রচার চলেছে বিজেপির। তবুও দলীয় কর্মীরা কিছুটা হতাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি কর্মী বললেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে প্রচারে আনার আগে দল প্রচার করেছে, বলিউড হিরো অক্ষয় কুমার আসছেন। সবাই ‘খিলাড়ি’কে দেখার লোভে ছুটেছেন। কিন্তু তিনি না আসায় অনেকেই ক্ষেপেছেন। এভাবে মিথ্যা প্রচার করলে আমাদের উপর ভরসা রাখবে কে?