পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৯-এর লোকসভায় টিটাগড় পুরসভা এলাকায় তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বারাকপুর পুরসভা এলাকা থেকে লিড পেলেও টিটাগড়ে অধিকাংশ ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিলেন রাজ চক্রবর্তী। এবার সেই টিটাগড় থেকে জোড়াফুলের প্রার্থীকে এগিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ। সেই মতো শুরু হয়েছে খাটিয়া বৈঠক। কয়েকদিন আগে টিটাগড়ের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এরকমই একটি সভায় একেবারে অন্য ভূমিকায় দেখা গেল সেলিব্রিটি বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে। স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে একেবারে আড্ডার ছলে আলাপচারিতা সারছিলেন তিগনি। সেই অর্থে ভোট বা রাজনীতির কথা নয়। কথায় কথায় তিনি জেনে নিচ্ছেন ওই মহিলাদের পারিবারিক অবস্থা, শিশুদের পড়াশোনা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে কি না ইত্যাদি নানা বিষয়।
টিটাগড়কে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলে মনে করেন অনেকে। কারণ ছোট্ট এই শহরে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বাস। শুধু হিন্দিভাষী নয়, দক্ষিণ ভারতের একাধিক ভাষাভাষী মানুষের ঠিকানা টিটাগড়। এরকম একটি এলাকায় মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা, অভাব-অভিযোগের হদিশ পেতে খাটিয়া বৈঠকের মতো ছোট ছোট সভা খুবই কার্যকর বলে মনে করছেন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা।
বারাকপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের অন্যতম সেনাপতি রাজ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘টিটাগড়ে আমরা খাটিয়া বৈঠকের মাধ্যমে ঘরোয়া আড্ডার পরিবেশ তৈরি করে জনসংযোগ চালাচ্ছি। সরাসরি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা জেনে নেওয়া যাচ্ছে। আমাদের রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা সবাই ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না, তাও জেনে নেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক এবং জনমুখী সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অনেককে সচেতন করা সম্ভব হচ্ছে।’ বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং অবশ্য তৃণমূলের এই প্রচারকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘টিটাগড়ের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। কোনও কিছুতেই আর লাভ হবে না।’