পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
গত মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলার চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলায় আক্রান্ত হন তৃণমূলের কাউন্সিলার সত্যেন রায় এবং তাঁর ছেলে শানু রায়। সত্যেনবাবু অভিযোগ করেছিলেন, পার্টি অফিসে একটি বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। সে সময় তৃণমূল কর্মী দেবরাজ ঘোষ দলবল নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে। ছেলে আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও বেধড়ক মারা হয়। কিছুদিন আগে তাঁর কিডনি অপারেশন হয়েছে। আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করি, আজ তার ফল পেলাম। হামলার পর তৃণমূলের নেতারা কেউ পাশে এসে দাঁড়াননি। পরের দিন বুধবার রাতে আমার ভাই স্বপন রায়কে বেধড়ক মারা হয়। অর্জুন সিং আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যে দল আমাকে কোনও সম্মান দেয়নি, সেই দলের সঙ্গে আমি থাকতে পারি না। তাই আমি বিজেপিতে যোগদান করলাম। চোরদের দলে আমি থাকব না। উল্লেখ্য, মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত দেবরাজ ঘোষকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে জগদ্দল থানার পুলিস। বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, সত্যেন দীর্ঘদিন তৃণমূলের কাউন্সিলার। তাঁকে অপমান করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। আমরা তো তৃণমূল কাউন্সিলারকে নিরাপত্তা দিতে পারি না। বিজেপিতে এলে সম্মান পাবেন বুঝতে পেরেই তিনি যোগ দিয়েছেন। আমার দলের কর্মীদের উপর হামলা করলে তৃণমূল তার পরিণতি বুঝতে পারবে। মানুষ তার যোগ্য জবাব এবার ভোটে দিয়ে দেবেন। সত্যেন রায়ের বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গে ভাটপাড়া টাউন তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, অর্জুনের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক ছিল। তলে তলে বিজেপির কাজই করছিলেন। উনি গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং লাভ হবে। ওঁকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরলে অর্জুন সিং বুঝতে পারবেন মানুষের প্রতিক্রিয়া। সেটা বুঝেই আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে ওঁকে দূরে সরে রেখেছিলাম।