Bartaman Patrika
 

 স্বপ্ন দেখতেন নিজেদের একটা মঞ্চ হবে

গত ২২ আগস্ট ছিল প্রবাদপ্রতীম অভিনেতা শম্ভু মিত্রর ১০৫তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে দীর্ঘদিন তাঁকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য।

প্রবাদপ্রতিম শ্রী শম্ভু মিত্রের সাথে আমার প্রথম দেখা নান্দীকারে। নান্দীকার তখন মুদ্রারাক্ষস নাটক মঞ্চস্থ করতে চলেছে। চাণক্য চরিত্রে অভিনয় করতে আসবেন স্বয়ং শম্ভু মিত্র। আমাদের মধ্যে তখন প্রবল উত্তেজনা তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পাবো বলে। মুদ্রারাক্ষস নাটকে আমার আবার একটা বাড়তি দায়িত্ব ছিলো; আমি ছিলাম নাটকের প্রযোজনা নিয়ন্ত্রক। শম্ভুদাকে তাঁর পার্ক সার্কাসের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতো দীপঙ্কর। ফেরার সময় শম্ভুদা বলতেন, তোমাদের তো এখনও রিহার্সাল হবে। আমাকে একটা ট্যাক্সি ডেকে দাও, আমি চলে যাবো। আমরা ট্যাক্সি ডেকে নিয়ে আসতাম। আর ট্যাক্সিতে ওঠার সময় ওনার হাতে পঁচিশ টাকা দিয়ে দিতাম। উনি চলে যেতেন। তারপরে আবার তিন- চার দিন পরে হয়তো মহলা। উনি দীপঙ্করের সঙ্গে আসতেন। আর এসে ট্যাক্সি থেকে নেমেই আমার হাতে একটা কাগজের মোড়ক দিতেন। আর আমি সেটা খুলে দেখতাম যে তাতে লেখা আছে – ‘আমার ঐদিন ট্যাক্সি ভাড়া লেগেছিলো ২২টাকা ৭৫ পয়সা, বাকি ২টাকা ২৫ পয়সা ফেরত।’ আমি অবাক হয়ে যেতাম— শম্ভু মিত্রকে গাড়িভাড়া বাবদ যে টাকা দিয়েছি তার হিসাব!! পরে বুঝেছি দলের প্রতিটি পাই-পয়সার হিসাব এভাবেই রাখতে হয়।
আস্তে আস্তে শম্ভুদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে থাকলাম। উনিও আমাকে খুব স্নেহ করতেন।
আর এক দিন। মুদ্রারাক্ষসের স্টেজ রিহার্সাল চলছে, অ্যাকাডেমিতে। আলো করছেন কণিস্ক সেন। চাণক্য-বেশী শম্ভুদার দৃশ্যের মহলা চলছে। হঠাত শম্ভুদা মহলা থামাতে বললেন রুদ্রদাকে। বললেন, ‘আচ্ছা কোথা থেকে একটা লাল আলো আসছে কেন? এখানে তো কোনও কালার থাকার কথা নয়!’ রুদ্রদা কনিস্কদাকে বললেন, কোথা থেকে লাল আলো দিচ্ছ? কনিস্কদা বললেন, না, কোনও লাল রঙ তো দেওয়া নেই! কিন্তু শম্ভুদা তখনও বলছেন যে উনি লাল আলো পাচ্ছেন। তারপর সমস্ত আলোর সোর্স পরীক্ষা করা হল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে দেখা গেল, একটা স্পট-এ এক টুকরো লাল ফিলামেন্ট লেগে আছে। হয়তো আগের কোনও নাটকে ব্যবহার হয়েছিল, খুলতে গিয়ে এক টুকরো আটকে আছে। এই হচ্ছেন শম্ভু মিত্র। আমাদের এতগুলো চোখ যা দেখতে পেল না, তিনি কিন্তু পেলেন। অথচ সবাই বলতেন যে উনি চোখে ভালো দেখতে পান না। আমরা আমাদের ভালো চোখ নিয়ে যা দেখতে পেলাম না, উনি তা পেলেন। তাহলে কার চোখ খারাপ ?
একদিন কেয়াদির মা বললেন, আমি শম্ভু মিত্রের জন্য রান্না করে দেব, তুমি একটু দিয়ে আসবে? আমি সানন্দে রাজী হয়ে গেলাম। যথারীতি আমি টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে শম্ভুদার বাড়ি হাজির হলাম। উনি আমায় বললেন, তুমি একটু অপেক্ষা করো। তারপর পাশের ঘরে গিয়ে খাওয়া শেষ করে, পুরো টিফিন ক্যারিয়ারটা ধুয়ে আমায় দিলেন, এবং সঙ্গে কেয়াদির মা’কে লেখা একটা চিঠি দিলেন। তাতে উনি কত তৃপ্তি করে যে খেয়েছেন, সেটা উল্লেখ করেছিলেন।
তখন প্রায়ই আমি শম্ভুদার বাড়ি যেতাম। একদিন ওনাকে বললাম, এই সময়ের অনেকেই আপনার ‘রাজা অয়দিপাউস’ দেখে নি। যদি আপনি আবার করেন তাহলে তারা দেখতে পায়। এটা কিন্তু সকলেরই খুব ইচ্ছে। উনি খানিকক্ষণ চুপ করে থাকলেন। তারপর বললেন, হ্যাঁ, জানো তো আমারও খুব ইচ্ছে ছিলো রবীন্দ্রনাথের কাছে গিয়ে ওনার কথা শুনবো; কিন্তু আমার সে ইচ্ছে পুরণ সম্ভব হয়নি, কী আর করা যাবে! সবাইকার সব ইচ্ছে পুরণ না হওয়াই ভালো।
১৯৮৮ সালে আমি নান্দীকার থেকে বেরিয়ে যুক্ত হই নান্দীপট নাটকের দলে। তখন মাঝে মাঝেই শম্ভুদার গোলপার্কের ফ্ল্যাটে যেতাম, ওনার কথা শুনতে। আমরা, শম্ভুদাকে একবার রবীন্দ্রসদনে আমাদের ‘শ্বেতসন্ত্রাস’ নাটক দেখাতে নিয়ে আসি। নাটকের নির্দেশক ছিলেন বিভাস চক্রবর্তী। শম্ভুদার খুব ভালো লেগেছিলো আমাদের নাটক, আর তার পর থেকে আমাদের প্রতি তাঁর স্নেহও আরও বেড়ে গেল। একদিন নানা কথা বলতে বলতে হঠাৎ প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা, তোমরা যে নান্দীকার থেকে বেরিয়ে এলে, নিশ্চয়ই সেখানে এমন কিছু হচ্ছিল যা তোমাদের পছন্দ হচ্ছিল না, অথবা তোমরা এমন কিছু করতে চাইছিলে যা ওখানে করতে পারছিলে না? এখন তোমরা তোমাদের দলে কি সেটা করতে পারছ? সত্যি কথা বলতে কি নান্দীকার থেকে চলে আসার সময়, আমরা সবাই যে একই কারণে এসেছিলাম, তা তো নয়; আর এইভাবে কোনও দিন ভেবেও দেখিনি। আমাদের সবাইকে যেন উলঙ্গ করে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন। এইভাবে তিনি আমাদের একটু একটু করে জীবনবোধ শেখাতেন।
১৯৯২ সালে আমরা ঠিক করলাম নাট্যোৎসব করব। দুই বাংলার নাটক, চলচিত্র, সঙ্গীত সবকিছু নিয়ে বিশাল হবে এই উৎসব। বিভাসদা ( চক্রবর্তী) বললেন, তোমার এই উৎসবের নাম দাও ‘পদ্মা গঙ্গা উৎসব’। ভাবনা তো হল, কিন্তু সেই ভাবনা রূপ পাবে কী করে? আমরা ঠিক করলাম এই উৎসব উদ্বোধন করবেন শম্ভুদা। থিয়েটারের সিনিয়ররা আমাদের সাবধান করলেন যে, এটা ওনাকে বলতে যাওয়াটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে! কিন্তু আমাদের খুব ইচ্ছে উনিই উদ্বোধন করুন। তা একদিন ভরসা করে গেলাম ওনার গোল পার্কের ফ্ল্যাটে। নানা কথার পরে আমাদের অনুরোধটা রাখলাম এবং উনি প্রথমেই ‘না’ বলে দিলেন। কিন্তু আমরাও ছাড়ার পাত্র নই, লেগে রইলাম। অবশেষে উনি বললেন, ঠিক আছে তোমরা দিন পনেরো বাদে এস, আমি একটু ভেবে দেখি। খুবই হতাশ হয়ে পড়লাম। আমি বললাম, আপনি ছাড়া আর কাউকেই আমরা এই উৎসবের উদ্বোধক হিসাবে ভাবতে পারছি না। আর সবচেয়ে বড় কথা আপনি রাজী হলে তবেই VST-ও আমাদের স্পন্সর করতে রাজি আছে, নাহলে নয়। উনি হেসে বললেন, ‘আমি কি অমিতাভ বচ্চন, যে আমার জন্য স্পন্সররা অপেক্ষা করে থাকবে?’ আমি বলে বসলাম, আপনি তো আমাদের থিয়েটারের অমিতাভ বচ্চন। উনি হেসে উঠে বললেন –‘যাও ; ঠিক আছে আমি রাজী। কিন্তু পনেরো দিন বাদে একবার এস। ‘পনেরো দিন বাদে আবার আমরা গেলাম। উনি জানতে চাইলেন, ‘আমাকে কী করতে হবে? প্রদীপ জ্বালাতে হবে না ফিতে কাটতে হবে?’ আমি বললাম, আপনাকে প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করতে হবে। উনি বললেন, ‘বেশ, প্রদীপ জ্বালিয়ে বলব যে পদ্মা-গঙ্গা উৎসবের শুভসূচনা ঘোষণা হলো— এই তো?’ আমরা বললাম, না, সঙ্গে আরও কিছু বলবেন, সকলে আপনার কথা শুনতে চাইবে। উনি বললেন, ‘দ্যাখো, এই যে আমরা থিয়েটার করি, মাসের পর মাস রিহার্সাল দিচ্ছি, শ্রম দিচ্ছি, এতজন মানুষ নিয়ে। আর অভিনয়ের পরে, হল-মালিক টাকা পাচ্ছেন, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিচ্ছি, খবরের কাগজের মালিক টাকা পাচ্ছেন; যে সেট তৈরি করছে সে টাকা পাচ্ছে, যে আলো করছে বা আবহ প্রক্ষেপণ করছে সব্বাই টাকা পাচ্ছে। এমন কি যে ঠেলাওয়ালা সেট বয়ে নিয়ে আসছে সেও টাকা পাচ্ছে। আর আমরা, মানে অভিনেতারা কী পাচ্ছি? কিছুই না! আসলে আমরা ভাগচাষির দল। আমরা সবই করি কিন্তু আমাদের কিছুই জোটে না।’ আমরা বললাম, আপনি আপনার এই উপলব্ধির কথাই বলবেন। উনি হেসে বললেন, ‘ধুর্... এসব কথা তোমাদের বলা যায়, অন্যরা আর কে শুনবে?’ তবে উদ্বোধনের দিন কিন্তু উনি এই কষ্টের কথাগুলোই বললেন। আর শুধু উদ্বোধনই যে করলেন তা নয়, সাথে সাথে আমাদের ‘নান্দীপট’কেও একটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করালেন। কারণ সেই সময় VST আমাদের ওই উৎসবের জন্য যত টাকা স্পন্সর করেছিল, বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসের কোনও উৎসব, তখনও পর্যন্ত সেই পরিমাণ অনুদান পায়নি। আর সেটা সম্ভব হয়েছিল শম্ভু মিত্রের নামের জন্য।
উনি স্বপ্ন দেখতেন, নিজেদের একটা মঞ্চ হবে। তার জন্য তিনি বহু চেষ্টা করে গেছেন। উদয়শঙ্কর, রবিশঙ্কর, বিষ্ণু দে আর থিয়েটার দল হিসাবে বহুরূপী, নান্দীকার, রূপকার, অনামিকা— এদের নিয়ে ‘নাটমঞ্চ সমিতি’ গঠন করেছিলেন। নাটক করে, সঙ্গীতানুষ্ঠান করে, বিভিন্ন ভাবে টাকা তুলেছিলেন, যাতে একখণ্ড জমি কিনে মঞ্চ তৈরি করা যায়। কিন্তু তার সে স্বপ্ন সফল হয়নি, সরকার তার হাতে জমি দেয়নি। কাজেই তাঁর আর নিজস্ব মঞ্চ পাওয়াও হয়নি। এর পরেও উনি চেষ্টা করেছিলেন আরও একবার। রুদ্রদা, বিভাসদা, অরুণদা, জোছনদা, মোহিতদা সবাই মিলে তৈরি করলেন ‘কলকাতা নাট্যকেন্দ্র’। তৈরি হল ‘গালিলেওর জীবন’ নাটক। তখন শম্ভুদার নামে দর্শকরা টিকিট কাটার জন্য রাত জেগে লাইন দিত। পাঁচটা শো-এর টিকিট কাউন্টার খোলার তিন ঘন্টার মধ্যে হাউসফুল হয়ে যেত। উনি বলেছিলেন, ‘এখন তো আমার অভিনয় দেখতে লোকে পয়সা দিচ্ছে। তোমরা আমায় ব্যবহার করে নাও। এইবেলায় একটা ফান্ড তৈরি করে একটা নিজেদের মঞ্চ তৈরি করে নাও।’ তাও হয়নি। খুব অভিমান হয়েছিল শম্ভুদার। কারণ, তাঁর স্বপ্নটা সেদিনের থিয়েটারের মানুষজন বুঝতে পারেনি। যদি বুঝতে পারত, তাহলে হয়তো আজ থিয়েটারের অন্য একটা চেহারা আমরা দেখতে পারতাম।
 ছবি লেখকের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে
24th  August, 2019
পালা দৃশ্যকাব্যের
শিশু-কিশোর নাট্যমেলা

 ‘পালা দৃশ্যকাব্য’ উলুবেড়িয়া অঞ্চলের অত্যন্ত পরিচিত একটি নাটকের পত্রিকা। তবে শুধুমাত্র পত্রিকা প্রকাশেই এঁদের কর্মকাণ্ড থেমে নেই। নাট্য প্রযোজনা, নাট্য প্রতিযোগিতা, কর্মশালা থেকে শুরু করে নাটক বিষয়ক নানা কাজে এঁরা নিজেদের জড়িয়ে রেখেছেন।
বিশদ

24th  August, 2019
সমাজকে বার্তা দিতে দুই মজার নাটক

থ্যালাসেমিয়ার মতো দুরারোগ্য ব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আবেদন জানাল বেলঘরিয়া থিয়েটার অ্যাকাডেমি। সম্প্রতি তাদের নাটক ‘কাগজের বিয়ে’র মধ্যে দিয়ে। নাটকটি মঞ্চস্থ হল গিরিশ মঞ্চে। কমেডির মাধ্যমে একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা সুন্দরভাবে পৌঁছে দেওয়া হয় নাটকে।
বিশদ

24th  August, 2019
থিয়েটার পাড়ার গপ্পো
ঝামেলা ফেরত দিলাম, ইতি ছবিদা

পারিবারিক আভিজাত্য সত্ত্বেও যুবকটি থিয়েটার পাড়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কালক্রমে হয়ে উঠলেন সিনেমা ও থিয়েটারের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নট। ছবি বিশ্বাসের কথা শোনালেন ড. শঙ্কর ঘোষ।
বিশদ

17th  August, 2019
নর্দার্ন অ্যাভেনিউ পুতুল গোষ্ঠীর পুতুল নাটক

 সম্প্রতি পাইকপাড়া মোহিত মৈত্র মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল নর্দার্ন এভিনিউ পুতুল গোষ্ঠীর পুতুল নাটকের এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে রুদ্রাণী পালের সঙ্গীত পরিচালনায় পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আলোকের এই ঝর্ণা ধারায়’ গানটি। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম নাটকটি ছিল নর্দার্ন এভিনিউ পুতুল গোষ্ঠীর পরিবেশনায় ডেঙ্গু নিয়ে পুতুল নাটক।
বিশদ

17th  August, 2019
কমেডির মোড়কে ভূতদর্শন

সুপারন্যাচারাল বিষয়টি কী? আদৌ কি এর কোনও অস্তিত্ব আছে? এই বিষয়টি নিয়ে একই কলেজের দুই অধ্যাপক মহেশ মিত্র ও হরিনাথ কুণ্ডু সবসময় তর্ক-বিতর্ক করে। তাঁরা দু’জনে দু’রকম দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে বিষয়টিকে। সেইমতো তার ব্যাখ্যাও দেন।
বিশদ

17th  August, 2019
তবুও নিয়তিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই চলবেই
রানি ক্রেউসা

গ্রিক ট্র্যাজেডির অন্যতম উপাদান হল ‘ফেট’ বা ‘অদৃষ্ট’ বা ‘নিয়তি’। প্রাচীন গ্রিসে এই ধারণা ছিল যে, ভাগ্যের তিন দেবী মানুষের অদৃষ্টে যে পরিণতি লিখে দিয়েছেন তা মানুষ কোনওভাবেই বদলাতে পারে না, তা সে যত চেষ্টাই করুক না কেন। অদৃষ্টের মারে মূল চরিত্রের যে পতন তাকে ঘিরেই নাটকের প্রধান দ্বন্দ্ব বা সংকট সৃষ্টি হয়।
বিশদ

17th  August, 2019
বিষ্ণু বসু ও নীতিকা বসু স্মারক বক্তৃতা 

বিষ্ণু বসু ও নীতিকা বসুর স্মৃতিতে প্রতিবছরের মতো এবারও দু’দিন ধরে বক্তৃতাসভার আয়োজন করেছিল কালিন্দী ব্রাত্যজন।   বিশদ

10th  August, 2019
একসঙ্গে ছোটদের তিনটি নাটক 

সম্প্রতি ‘দি বয়েজ ওন লাইব্রেরি’ নিবেদিত এবং ‘দি বয়েজ ওন শিশু কিশোর নাট্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ প্রযোজিত তিনটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটক একসঙ্গে মঞ্চস্থ হলো। ‘পাখিদের পাঠশালা’, ‘আঁধার বনের আলো’ এবং ‘ভাঙ্গা ম্যাকবেথ’, এই তিনটি নাটকের শিল্পীরা শিশু এবং কিশোর।   বিশদ

10th  August, 2019
যাত্রার গব্বর সিং ছিলেন দিলীপ চট্টোপাধ্যায় 

সোনাই দীঘি পালার ভাবনা কাজির রূপকার নটসূর্য দিলীপ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস। 
বিশদ

10th  August, 2019
শাড়ির সঙ্গে বুটজুতো পরে কলেজে যেতেন

আগামী ৫ আগস্ট কেয়া চক্রবর্তীর জন্মদিন। নান্দীকারে থাকাকালীন তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, সেই অভিজ্ঞতায় ভর করে তাঁকে স্মরণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য।
বিশদ

03rd  August, 2019
সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান
করলেন থিয়েটারকর্মী এস রঘুনন্দন

গত ১৭ জুলাই মঙ্গলবার তাঁর নাম ঘোষিত হয় ২০১৮ সালের সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে। পরদিন অর্থাৎ ১৮ জুলাই বুধবার সামাজিক সংযোগ মাধ্যমগুলিতে একটি খোলা চিঠি লিখে সেই পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করলেন কর্ণাটকের নাট্যব্যক্তিত্ব এস রঘুননন্দন। বিশদ

03rd  August, 2019
 ভীষণভাবে রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক এক নাটক
সীতায়ন

 দীর্ঘ বনবাস কাটিয়ে, রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করে, অবশেষে অযোধ্যা ফিরলেন রামচন্দ্র। স্বামীর অপেক্ষায় থাকা সীতার দুর্বিষহ জীবনযাপনের অবসান হতে চলল। কিন্তু সত্যি কি শেষ হল?
বিশদ

03rd  August, 2019
 নান্দীপটের নাট্যপত্র প্রকাশ

  বার্ষিক নান্দীপটের নাট্যপত্র প্রকাশিত হল তৃপ্তি মিত্র সভাগৃহে। তাদের চল্লিশতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত এই পত্রিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে কবি শঙ্খ ঘোষ বলেন, পত্রিকাটি যথাসাধ্য ভালো করার চেষ্টা করেছে এরা। দেখে বেশ ভালো লেগেছে।
বিশদ

03rd  August, 2019
 রাত তখন বারোটা

  লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। এই পুরনো প্রবাদটি যে কতটা সত্যি তা আমরা হরহামেশাই মালুম করতে পারি। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলের নিউজ বুলেটিনে এ ধরনের একাধিক ঘটনার কথা শোনা যায়।
বিশদ

03rd  August, 2019

Pages: 12345

একনজরে
মাইসুরু, ১৮ নভেম্বর: রবিবার মাইসুরুতে একটি বিয়েবাড়িতে যোগ দিতে গিয়ে আততায়ীর হামলায় গুরুতর জখম হলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক তনভির সাইত। তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’টি পরীক্ষার মধ্যে দু-একদিন করে ছুটি থাকবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

সংবাদদাতা, কান্দি: সোমবার সকালে বড়ঞা থানার বিপ্রশেখর গ্রামে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বাদল দত্ত(৫২)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।   ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতের পটুয়া এলাকায় ধান খেতে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম
১৯২২: সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরির জন্ম
১৯২৮: কুস্তিগীর ও অভিনেতা দারা সিংয়ের জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী জিনাত আমনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৬ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৫ টাকা ৮০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১ দিবা ৩/৩৬। অশ্লেষা ৩৮/৩৮ রাত্রি ৯/২২। সূ উ ৫/৫৫/২২, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৫/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১৯/২৬/৫২ দিবা ১/৪৩/৫৬। অশ্লেষা ৩৬/১/৪১ রাত্রি ৮/২১/৫১, সূ উ ৫/৫৭/১১, অ ৪/৪৮/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে ও ১/৪১ গতে ৩/২৮ মধ্যে ও ৫/১৪ গতে ৫/৫৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৮/৩৬ গতে ৮/৪০/১ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৩/১৫ গতে ২/৫/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪ গতে ৮/৫/৪০ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বৃষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৭: ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প 

07:07:50 PM

বুধেরহাটে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী বধূ 
স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। ...বিশদ

06:22:42 PM

মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:13:00 PM

বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস 
২৬ এবং ২৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস। ...বিশদ

03:59:00 PM