কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
তারপর কী হয়?
পরশুরামের লেখা ‘মহেশের মহাযাত্রা’ অবলম্বনে নির্মিত ‘শব চরিত্র কাল্পনিক’ মঞ্চস্থ করল বিডন স্ট্রিট শুভম রেপেরেটারি সংস্থা। সম্প্রতি নাটকটি আকাদেমিতে মঞ্চস্থ হল। একদিন মধ্যরাতে হঠাৎ হরিনাথের বাড়িতে একটা ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তের লোকটি তাঁকে বলে মহেশ বেঁচে নেই। সেই ফোনটা পেয়ে তড়িঘড়ি হরিনাথ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। রাস্তায় বেরিয়ে তাঁর অ্যাক্সিডেন্ট হয়। তাকে একটা গাড়ি ধাক্কা মারে। এরপর পুলিস আসে তদন্ত করতে হরিনাথের বাড়িতে। হরিনাথের স্ত্রী বলে রাতে একটা ফোন পেয়েই সে বাড়ি থেকে দ্রুত চলে যায়। পুলিস কলেজে গিয়ে প্রিন্সিপালকেও প্রশ্ন করে। কলেজের প্রত্যেকেই হরিনাথের সঙ্গে মহেশের গভীর বন্ধুত্বের কথা বলেন। মহেশ যে একেবারে সুপারন্যাচারাল শক্তির কথা বিশ্বাস করতেন না সেটাও জানা যায়। হরিনাথ কলেজের ছাত্রদের সাহায্যে কীভাবে মহেশকে এই শক্তির প্রতি বিশ্বাস করতে বাধ্য করেন সেই গল্পটিও বলে তাঁরা। সম্পূর্ণ এক অবাস্তব ঘটনাকে কমেডির মোড়কে উপস্থাপন করল তারা। অনিমিত্র খানের নির্দেশনায় নাটকটি সত্যিই দারুণ উপভোগ্য হয়। নাচে, গানে জমজমাট একটা সুপারন্যাচারাল বিষয়কে খুব মনোগ্রাহী ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মঞ্চস্থ করল শুভম। অভিনয়ে প্রত্যেকেই খুব সাবলীল, স্বচ্ছন্দ। একেবারে ইয়ং জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা খুব সুন্দরভাবে নাটকটি মঞ্চায়ন করে তুলল। হরিনাথের চরিত্রে অনিমিত্র খান এবং মহেশের ভূমিকায় সৌপর্ণ রায় অসাধারণ অভিনয় করে। অন্যান্য চরিত্রগুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলে স্বরগিতি মোদক, সৌরভ দাস, বিবেক দে, অভিষেক জৈন, আদিত্য ব্যানার্জি, বিভাস দত্ত, সুকন্যা দত্তরা। প্রতিটি চরিত্র একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে। আলোর ভূমিকা ও মঞ্চসজ্জার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যথাযথভাবে সামলেছেন শুভঙ্কর দে ও মণি ভদ্রসাহু।