আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বিএসএনএলের কর্পোরেট বাজেট এবং ব্যাঙ্কিং ডিভিশনের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার পূরাণ চন্দ্র মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারিকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, সরকার এখনই এই সংস্থায় টাকা ঢালুক। কারণ, তা না হলে বিএসএনএল’কে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন, কর্মীদের জুন মাসের বেতন বাবদ ৮৫০ কোটি টাকা জোটানোও কঠিন। কারণ সংস্থার দায়ের অঙ্ক ইতিমধ্যেই ১৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। সংস্থার মাসিক আয় এবং খরচের মধ্যে যেভাবে ফারাক বাড়ছে, তাতে টাকার জোগান না দিলে তাল সামলানো মুশকিল। পাশাপাশি কী করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে, তার জন্য সরকারের উপদেশও চেয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা বলছে, বিএসএনএলের সার্বিক কার্যকরী ক্ষতি বা অপারেটিং লস-এর অঙ্ক ৯০ হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই হিসেব পেশ করে তারা বুঝিয়েছে, দেশের যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি লাভের মুখ দেখতে পারছে না, তাদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে আছে বিএসএনএল। অভিযোগ, সরকার যেমন এর আর্থিক পুনর্গঠনের দিকটি ভেবে দেখছে না, তেমনই তার পুনরুজ্জীবনের জন্য কোনও দিশা বা রোড ম্যাপও তৈরি করছে না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠনও। বিএসএনএল স্টাফ ইউনিয়নের ডিপুটি জেনারেল সেক্রেটারি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেখানে সরকারের হাতে পূর্ণ মালিকানা আছে, সেখানে এই সংস্থার উপর সরকার আইনগতভাবেই সম্পূর্ণভাবে দায়বদ্ধ। অথচ সরকারের থোড়াই কেয়ার মনোভাব ক্রমশ বাড়ছে। একদিকে আমাদের ফোর জি সহ কোনও উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিকাঠামো দেওয়া হয়নি। উল্টে সংস্থার সম্পত্তিগুলি সরকার নিজে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদেরও বক্তব্য, সংস্থাটিকে বাঁচাতে সরকারের এখনই টাকা ঢালা উচিত। এখানে স্থায়ী কর্মচারীদের পাশাপাশি ঠিকা কর্মী এবং অস্থায়ী কর্মী আছেন। ঠিকা কর্মীরা ছ’মাসের বেতন পাচ্ছেন না। মানবিকতা বলেও একটি বস্তু আছে, যা এড়িয়ে যাচ্ছে বিএসএনএল। অন্যদিকে মজুরি না পাওয়ার জন্য রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিএসএনএল কনট্রাক্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সাধু বলেন, কোনও পক্ষই আমাদের বেতন দেওয়ার অর্জি মানছে না। অথচ আমরা এখনও গ্রাহকদের সব রকম পরিষেবা দিচ্ছি। এবার রাজ্যপালকে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানাতে চাই। প্রসঙ্গত, সংসদে তাঁদের বেতন প্রসঙ্গ তোলেন সংসদ সদস্য সৌগত রায়ও।