আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন ইউপিএ সরকার সোনার উপর আমদানি শুল্ক ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করে। সেই হার কমানোর জন্য শিল্পমহলের তরফে চাপ ছিল। কিন্তু প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ইউপিএ জমানার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরেননি নরেন্দ্র মোদিও। তাঁর দ্বিতীয়বারের শাসনকালে সেই হার কমুক, চায় কাউন্সিল। এখনকার ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন বলেন, যে সময় আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সঙ্কট এখন কেটেছে। অথচ সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরছে না। আমাদের বক্তব্য, এত চড়া আমদানি শুল্কে চোরাই সোনার রমরমা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রেকর্ড বলছে, যেখানে ভারতে আইনি পথে সোনা আমদানি হয়েছে ৬৫০ টন, সেখানে স্মাগলিং করে সোনা ঢুকেছে দেড়শো টন। কেন্দ্রীয় সরকার সোনায় আমদানি শুল্ক বাবদ ৩৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ফলে তাদের পক্ষে সেই রাজস্ব ছেড়ে দেওয়া কঠিন। কিন্তু আমরা সরকারকে পাল্টা অঙ্ক কষে বুঝিয়েছি, আমদানি শুল্ক কমালে স্মাগলিং বন্ধ হবে। সেই সোনা আইনি পথে ঢুকলে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা দূর হবে। আমাদের দাবি, ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক অন্তত চার শতাংশ করা হোক।
মোদি সরকার যে গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিম চালু করেছিল, তা নতুন করে চালু করতে কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিল। তাদের দাবি, যে স্কিম কেন্দ্র চালু করেছিল, সেখানে দু’শতাংশ হারে সাধারণ মানুষকে রিটার্ন দেওয়া হতো। কিন্তু সেই স্কিম জনপ্রিয় হয়নি। এখনও পর্যন্ত ওই প্রকল্পে দেড় টন সোনা মিলেছে। শঙ্করবাবুর দাবি, মন্দিরে সঞ্চিত সোনা এবং সাধারণ মানুষের লকার বা আলমারিতে জমানো সোনার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার মেট্রিক টন। সরকার চায়, সেই সোনা স্বর্ণশিল্পে আসুক এবং তা দেশের অভ্যন্তরীণ সোনার চাহিদায় কাজে লাগুক। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আর সোনা আমদানির উপর নির্ভর করতে হবে না। কিন্তু যে পরিকাঠামোয় ওই স্কিম চালু হয়েছে, তা মোটামুটি ব্যর্থ। শঙ্করবাবুদের দাবি, জুয়েলার বা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ‘এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিক কেন্দ্র। তাদের সঙ্গে যোগ থাকুক ব্যাঙ্কের। সাধারণ মানুষ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হাতে সোনা দিলে, ব্যাঙ্ক তার বিনিময়ে পাশবুক ইস্যু করবে। অন্যদিকে, ওই সোনা গোল্ড লোন হিসেবে স্বর্ণকারের হাতে থেকে যাবে। তা ব্যবহার করে স্বর্ণকাররা গয়না তৈরি করবেন। সোনার মালিককে মেয়াদ শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বাৎসরিক হারে ওই জমা করা সোনার উপর ৩.৫ শতাংশ হারে রিটার্ন দেওয়ার পক্ষপাতী কাউন্সিল।