গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি ছয় উইকেটের বিনিময়ে তুলেছিল ১৭৩। জবাবে ১৮.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছয় সিএসকে (১৭৬-৪)। রাচীন রবীন্দ্র (৩৭), অজিঙ্কা রাহানে (২৭), ড্যারিল মিচেল (২২) আউট হওয়ার পর দলকে টনেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আসা শিবম দুবে (অপরাজিত ৩৪)। রবীন্দ্র জাদেজাকে (অপরাজিত ২৫) সঙ্গে নিয়ে জিতিয়ে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় যদিও প্রথম ম্যাচে থামেন মাত্র ১৫ রানে।
দীর্ঘদিন পর বাইশ গজে ফেরা সুখের হল না কোহলিরও। ওপেন করতে নেমে ২০ বলে করেন ২১। বাউন্ডারি হাঁকাতে লেগে গেল ইনিংসের ১৪তম বল, ম্যাচের দশম ওভার। মহেশ থিকসানাকে ছয় হাঁকালেও কয়েক মাস পর প্রত্যাবর্তনে চেনা ছন্দে দেখা গেল না কোহলিকে। ব্যর্থ রজত পাতিদার (০), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (০),ক্যামেরন গ্রিনও (১৮)। কার্যত অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসি (৩৫) ছাড়া আরসিবি’র তারকাখচিত ব্যাটিং নিষ্প্রভ রইল। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ইনিংস যে শেষ পর্যন্ত লড়াকু স্কোরে পৌঁছয়, তার নেপথ্যে অনুজ রাওয়াত ও দীনেশ কার্তিক। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনে ৫০ বলে যোগ করেন ৯৫ রান। ২৫ বলে অনুজের সংগ্রহ ৪৮। কার্তিক অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে।
তার আগে দুরন্ত বোলিংয়ে নজর কাড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। হলুদ জার্সিতে অভিষেকে ২৯ রানে চার উইকেট নেন তিনি। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে তিন বলের ফারাকে ফেরান ডু’প্লেসি ও পাতিদারকে। দ্বাদশ ওভারে ফের জোড়া ধাক্কা। কাটারের জন্য বিখ্যাত বাঁ হাতি পেসারের এবার শিকার কোহলি, গ্রিন। তখন মুস্তাফিজের বোলিং গড় ১.৪-০-৬-৪!
ধোনিকে অবশ্য ব্যাট হাতে দেখা গেল না। লম্বা চুলের নয়া হেয়ারস্টাইলে সাড়া ফেলা তিনিই অবশ্য ফিল্ড সাজালেন, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে গাইড করলেন ঋতুরাজকে। মাহির গ্লাভসে জমা হল দুটো ক্যাচ। ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউটও করলেন। কে বলবে এমএসডি’র বয়স এখন ৪৩ !