কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত মনোব্রত জানা ও বলাইচরণ মাইতিকে এনআইএ হেফাজত শেষে সোমবার নগদ দায়রা আদালতে তোলা হয়। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানায় বিস্ফোরণের আগে মৃত রাজকুমার মান্নার সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় দুই অভিযুক্তের। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার প্রমাণ মিলেছে মোবাইলের কল ডিটেইলস থেকে। তা আদালতের কাছে জমা দেওয়া হয়। এনআইএ আদালতে জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটে রাত দশটা নাগাদ। রাজকুমারের বাড়ি উড়ে যায়। তিনজনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে জানিয়েছে, বিস্ফোরণ হয় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। অথচ দেখা যাচ্ছে, মৃত দেবকুমার গায়েন ও বিশ্বজিত গায়েনের মধ্যে ন’টা একান্ন মিনিট নাগাদ তিন সেকেন্ডের সংক্ষিপ্ত কথোপকথন হয়েছে। যার প্রমাণ মিলেছে কল ডিটেইলস থেকে। বিস্ফোরণ সাড়ে আটটায় হলে তাঁদের মোবাইল ধ্বংস হয়ে যাবে। কথা বলবেন কী করে? পুলিস চারজন সাক্ষীর বয়ানও নেয়। ঘটনাস্থল থেকে যাঁদের বাড়ির দূরত্ব সাড়ে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার। অত তাড়াতাড়ি তাঁরা পৌঁছলেন কী করে?
অভিযুক্ত বলাই আদালতে বলেন, সাড়ে আটটার গল্প কী করে তদন্তকারী অফিসার পেলেন, তা জানা নেই। এটা এনআইএ বলতে পারবে। পরের দিন অভিষেকবাবুর মিটিং ছিল। তাই পার্টি অফিসে তাঁরা বৈঠক করছিলেন। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার ও পূর্বতন ওসি। কার নির্দেশে তাঁরা সময় বদল করেছিলেন, সেটা জানতে তাঁকে ডাকা হবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। পাশাপাশি কোনও রাজনৈতিক নেতাকে বাঁচাতে এটি করা হয়েছিল, সেটিও জানার চেষ্টা করছে তারা। অপর অভিযুক্ত মনোব্রত জানা বলেন, ধরা পড়ার পর তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, এনআইএর গাড়ি কারা ভাঙচুর করল, তা বলার জন্য। তিনি দাবি করেন, ওই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন। তাঁর পক্ষে কী করে বলা সম্ভব, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।