সংবাদদাতা, ইসলামপুর: এখনও বর্ষা শুরু হতে কিছুটা দেরি আছে। কিন্তু ইসলামপুর শহরের বাসিন্দারা এখন থেকেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছরই বর্ষার মরশুমে বৃষ্টির জমা জলে দুর্ভগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। এবারও সেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। যদিও পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই নালা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষাকাল ও নিকাশি ব্যবস্থার মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে। নিকাশি ব্যবস্থা ভালো না হলে বর্ষার মরশুমে বৃষ্টির জল বের হতে পারে না। তা রাস্তায় জমে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে রাস্তার জল বাড়িতে ঢুকে যায়। তাই বর্ষার আগে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ স্বাভাবিক। 
শহরের নিকাশি ব্যবস্থা মোটেও সন্তোষজনক নয়। শহরের মূল সড়কের দুই দিকেই দু’টি বড় নিকাশিনালা আছে। বর্ষার সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছোট ছোট ড্রেনের জল ওই নালার মাধ্যমে শহরের বাইরে যায়। ছোট ছোট ড্রেনগুলি মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা হলেও বড় নিকাশিনালা কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। সেগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। আবর্জনার কারণে ওই নালাগুলি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। একাংশ ব্যবসায়ী নালার উপরে দোকান তৈরি করেছেন। কার্যত জবরদখল হয়ে আছে। দোকানগুলির আবর্জনা ওই ড্রেনে ফেলা হয়। নালার উপর দোকান থাকায় ড্রেন পরিষ্কারের কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। বহু জায়গায় সাফাইয়ের গাড়ি ঢুকতে পারে না। বর্ষার সময়  আবর্জনাপূর্ণ ড্রেন দিয়ে জল বের হতে পারে না। সেসময় ড্রেনের জল উপচে রাস্তায় চলে আসে। এমনকী একাংশ বাসিন্দার বাড়িতেও ঢুকে যায়। সেই সঙ্গে জলে নালার নোংরা আবর্জনা ভাসতে থাকে। এধরনের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে আগেভাগেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ড্রেন পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষার আগে ড্রেন পরিষ্কার থাকলে জল দাঁড়াবে না। তবে লাগাতার বৃষ্টি চলতে থাকলে সেসময় সমস্ত জল একবারে ড্রেনের মাধ্যমে বের হতে পারে না ফলে রাস্তায় চলে আসে। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে জল বেরিয়ে যায়।