গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তির কথা শোনালেন ভারতীদেবী। বলেন, ক্রীড়ামন্ত্রক পণ্ডিত দীনদয়াল ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে শিলিগুড়ির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন চার কৃতী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় টাকা পেয়েছেন। প্রিয়ম চক্রবর্তী আড়াই লক্ষ, সুরভি ঘোষ আড়াই লক্ষ, স্মরণ দাস দেড় লক্ষ এবং শুভেচ্ছা রায় ১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কৃতিত্বের জন্য তাঁদের এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ওই টাকা পেয়েছেন। সম্প্রতি শিলিগুড়ি দেশবন্ধু স্পোর্টিং ক্লাবে তাঁদের নানাভাবে উৎসাহিত করেন ভারতীদেবী। মূল্যবান পরামর্শও দেন। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষেন্দু পাল, বিশিষ্ট অ্যাথলেটিক কোচ দেবকুমার দে প্রমুখ।
ভারতীদেবী বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের খেলতে যাওয়ার ক্ষেত্রে লড়াই করতে হয়। প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ায় এই চার খেলোয়াড় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্কলারশিপ পেয়েছে। তাতে আগামী দিনে তাঁদের পাশাপাশি এই অঞ্চলের আরও কৃতী খেলোয়াড় নিজেদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মেলে ধরার লক্ষ্যে উৎসাহিত হবে। প্রশ্নের উত্তরে ভারতীদেবী বলেন, গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বরাবর টেবিল টেনিসের সহজাত প্রতিভা পেয়েছি। তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে সফলও হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কৃতী খেলোয়াড়দের মধ্যেও দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েরা রয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে খেলার খরচ জোগানো অনেকের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্রীড়ামন্ত্রকের স্কলারশিপ এ ধরনের খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাবে। তবুও আমি বলব, গরিব ঘরের ছেলেমেয়ের প্রতিভা থাকলেও, তারা যেন টেবিল টেনিসে না আসে। তার চেয়ে বরং তারা ক্যারম, দাবার মতো খেলায় অংশ নিক। সেখানে এখন কম খরচে ভালো ভবিষ্যৎ রয়েছে।