ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
লিঙ্কনশায়ার শহরের বাসিন্দা নিকোলাস মেটসনের সঙ্গে ২০২১ সালে হলি ব্রামলের (২৬) বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দু’জনের অশান্তি শুরু হয়। ১৬ মাস ধরে নিকোলাস স্ত্রীকে নানাভাবে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। দু’জনের বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও চলছিল। তার আগেই স্ত্রীকে খুন করে ওই যুবক।
গত বছরের ২৪ মার্চ হোলির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে নিকোলাসের বাড়িতে যায় পুলিস। তখনও যুবক মজা করে পুলিসকে বলে, স্ত্রী খাটের নীচে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু পুলিসকর্মীরা গোটা বাড়িতে কড়া অ্যামেোনিয়ার গন্ধ পান। বাথটবে রক্তে ভেজা চাদর, মেঝেতে রক্তের দাগও খুঁজে পায় পুলিস। যদিও নিকোলাস পাল্টা দাবি করে, তিনিই স্ত্রীর অত্যাচারের শিকার। কনুইয়ে একটি কামড়ের দাগও দেখায় সে। পুলিসকে জানায়, স্ত্রী একটি সংগঠনের সঙ্গে বাইরে গিয়েছেন।
পুলিসের অনুমান, স্ত্রীকে শোওয়ার ঘরেই কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত। পরে দেহ বাথরুমে এনে টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে পুরে রান্নাঘরে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু পুলিস বাড়িতে আসার ঠিক আগে বন্ধুর সাহায্যে দেহাংশ নদীতে ফেলে আসে সে। এর জন্য বন্ধুকে ৫০ পাউন্ড দেয় সে। পুলিস জানিয়েছে, হোলির দেহের ২২৪টি টুকরো উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিছু টুকরো এখনও পাওয়া যায়নি। এমনভাবেই দেহ কাটা হয়েছিল যাতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কোনওভাবেই খুঁজে না পাওয়া যায়।
যদিও নিকোলাসের নৃশংসতার প্রমাণ আগেও মিলেছে বলে জানিয়েছেন মৃত হোলির মা। তিনি জানান, নিকোলাস তার স্ত্রীর পোষা ইঁদুর ব্লেন্ডারে ফেলে ও মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ঢুকিয়ে মেরেছিল। এছাড়া কুকুর ছানাকেও ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে খুন করে সে। নিকোলাসের আইনজীবীর দাবি, সে জটিল মানসিক রোগের শিকার।