বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ফাইভ জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে গেলে ব্যবহারকারীরা প্রথমেই যেটা খেয়াল করবেন, তা হচ্ছে গতি। এই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে উঠলে বিস্তৃতি লাভ করবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার। সমস্যা হচ্ছে, ফাইভ জি ইন্টারনেট ব্যবস্থা কার্যকরে জটিল ও অত্যাধুনিক যে সফটওয়্যার ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে, তার যে কোনও রকম পরিবর্তন করা সম্ভব হবে ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই। ফলে যার হাতে ইন্টারনেটে ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে তার পক্ষে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবর্তন ও কপি করার সুযোগ চলে যাবে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ফাইভ জি ইন্টারনেট ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ যার হাতে যাবে সে আগামী একশো বছর দুনিয়ার নেতৃত্বে থাকবে।
যদি চীনের হুয়াওয়ে ফাইভ জি ইন্টারনেট পরিকাঠামো বাস্তবায়নের কাজ করে তাহলে পরিকাঠামো বাস্তবায়নের সঙ্গে যে অর্থনৈতিক ও নজরদারির সুযোগ রয়েছে, তা হাতছাড়া হয়ে যাবে আমেরিকার। হোয়াইট হাউসের আশঙ্কা, চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে তাদের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ফাইভ জি ইন্টারনেট পরিকাঠামো তৈরি করলে সেখানে তারা গোপন সুযোগ রাখবে আমেরিকার উপর সামরিক-অর্থনৈতিক নজরদারির। আমেরিকা তাই নেমেছে নতুন যুগের অস্ত্র প্রতিযোগিতায়। ফাইভ জি ইন্টারনেট ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখাই যার একমাত্র লক্ষ্য।
ব্রিটেনের সঙ্গে চীনের হুয়াওয়ের একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে ফাইভ জি ইন্টারনেট পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার। এরপরই ওয়াশিংটন তা থামাতে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্রিটেনকেই এখন বেছে নিতে হবে আমেরিকা না চীন। অন্যদিকে, পোল্যান্ডকে সরাসরি বলে দেওয়া হয়েছে, তারা যদি হুয়াওয়েকে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট পরিকাঠামো গড়ার কাজ দেয় তাহলে তাদের সঙ্গে আমেরিকার সামরিক সহযোগিতা স্থগিত করা হবে। পোল্যান্ডে ‘ট্রাম্প ফোর্ট’ নামে মার্কিন সেনাবাহিনীর যে স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মার্কিন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আগের মতো হার্ডওয়্যারে ‘ব্যাকডোর’ না খুঁজে বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনা আইন-কানুনই যে বিপদের কারণ, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের’ উইলিয়াম আর ইভানিয়া মন্তব্য করেছেন, চীনে সরকারি আর বেসরকারির মধ্যে পার্থক্য খুব কম। চীন চাইলেই যে কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য করাতে পারে। ফলে যারা চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, হুয়াওয়েকে সরকারি আদেশ মানতে বাধ্য করার মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠানের উপরও নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাবে চীনের সরকার। ২০১৭ সালের জাতীয় গোয়েন্দা আইনে চীন সরকার বলেছে, নজরদারির জন্য যেখানেই দরকার হোক না কেন, চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরকে সাহায্য করতে বাধ্য। ফলে প্রমাদ গুনছে হোয়াইট হাউস!