গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
করোনাকালে ইমিউনিটি নিয়ে মাতামাতি নেহাত কম হয়নি। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়, এমন জিনিস খেতে বা খাওয়াতে সেই সময় একটু বাড়তি উৎসাহী ছিলেন সাধারণ মানুষ। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে ‘আর্টিফিসিয়াল’ ব্যাপার ছেড়ে প্রাকৃতিক উপাদানেই বিশ্বাস খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরা। আইসক্রিমও সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে এবার। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, প্রোটিন বেশি আছে বা ডায়াবেটিস আছে যাঁদের, তাঁদের শরীরে চাহিদামতো আইসক্রিমের দিকেই ঝুঁকছেন বা আগামীদিনে ঝুঁকবেন সাধারণ মানুষ। যাঁদের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের অন্তত অর্ধেক এমনই মত পোষণ করেছেন। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ বা অর্গানিক দুধে তৈরি আইসক্রিমের চাহিদা বেশি। ৬০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, আইসক্রিমেও স্বাস্থ্য বা পুষ্টি খুঁজছেন ক্রেতারা। এমনকী যাঁরা রেস্তরাঁয় খেতে যান, তাঁরাও কোনও ব্র্যান্ডের পরিবর্তে আঞ্চলিক স্তরে তৈরি করা আইসক্রিমের অর্ডার বেশি করে করছেন। ৩০ শতাংশের দাবি, শুধু স্বাস্থ্যকর আইসক্রিম পরিবেশন করলেই হবে না। তাতেও থাকতে হবে বিশেষত্ব। যেমন, আইসক্রিমও হতে হবে ভেগান। অর্থাৎ প্রাণীর দুধ থেকে আইসক্রিম তৈরি হলে হবে না। তা হতে হবে উদ্ভিজ। পশুকে কষ্ট দিয়ে, তার শাবকের মুখের গ্রাস কেড়ে আইসক্রিম বানানো চলবে না। প্রায় ৬০ শতাংশ খাদ্যপ্রেমীর মনে হয়েছে, বিরাট বড় সাইজের একটা স্কুপ না হলেও হবে। ছোট আইসক্রিমেই মন জুড়াবে তাঁদের। বাজারে এখন হরেক রকমের ‘ন্যাচারাল’ আইসক্রিম পাওয়া যায়। নানা ধরনের ফল থেকে তৈরি হওয়া সেসব আইসক্রিমের চাহিদা যে ক্রমশ বাড়ছে, তার ইঙ্গিত দিয়েছে ওই সমীক্ষা। আঞ্চলিক স্তরে তৈরি হওয়া এইসব আইসক্রিম ইতিমধ্যেই ভালো ব্যবসা করছে। অর্থাৎ অন্যরকম আস্বাদ পেতে মানুষ এবার পথ বদলাচ্ছে আইসক্রিমেরও।