ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সূত্রের খবর, কাউন্সিলের অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান হয়তো জরুরিভিত্তিতে বিতর্কসভার আর্জি জানাতে পারে। আবার প্রস্তাব পেশের পথেও হাঁটতে পারে তারা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে পরিস্থিতি যাচাই করে নেবে ইসলামাবাদ। যদি তারা জরুরিভিত্তিতে বিতর্কসভার আর্জি জানিয়ে কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে চিঠি দেয়, তাহলে বিষয়টিতে সরল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট হবে। সেখানে অনুপস্থিত সদস্যের ভোট গণ্য হবে না। আর পাকিস্তান যদি কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে প্রস্তাব পেশের পথে হাঁটে, তাহলেও বিষয়টি সেই ভোটাভুটিতেই যাবে। তবে, গত ১৬ আগস্ট রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিল চীন এবং ব্রিটেন। যদিও, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সমর্থন পেয়ে ভারতই শেষপর্যন্ত জয়ী হয়।
কূটনৈতিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেনিভায় পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘টিম মোদি’ অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। একদিকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭ জন সদস্যের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে থাকেন। অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দায়িত্ব নিয়ে কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিপুণভাবে সামাল দিতে থাকেন। আবার উপত্যকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদাপ্রদানকারী ৩৭০ ধারা কেন্দ্র বাতিল করে দেওয়ার পর থেকেই পাক-ছক বানচালের সলতে পাকাতে শুরু করে দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং হাঙ্গেরিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলির পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিজি, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিলিপিন্সের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে পাকিস্তানের পরিকল্পনায় জল ঢালার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জয়শঙ্করকে নির্দেশ দিয়েছেন, কাশ্মীর যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, যেকোনও মূল্যে তা বোঝাতে হবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে। এখন সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানও তাঁর ফোন সবসময় সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে থাকেন। ইসলামাবাদ যাতে কাশ্মীরের নিরীহ মানুষকে ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘ভুয়ো অভিযোগ’কে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, মূলত সেদিকেই সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলেন তিনি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের জেনিভার অধিবেশনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশ সচিব (পূর্ব) বিজয় ঠাকুর সিং এবং পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।