গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আমার উদ্দেশ্য ছিল, মানুষ যাতে ন্যূনতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন। বিগত পাঁচ বছরে এমন বহু কাজ হয়েছে, যেগুলি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জীবনধারাকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে। তিনটে কাজের কথা বলতে চাই। এক, তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটা জায়গা রয়েছে, যার নাম বাহাদুরপুর। ওই এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে শুধু ছিল বাঁশের সাঁকো। ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষকে সাঁকো পারাপার করতে হতো। সাংসদ তহবিলের ৪১ লক্ষ টাকা দিয়ে বাহাদুরপুর থেকে পশ্চিমপাড়ার সংযোগকারী একটি সেতু তৈরি করা হয়েছে। দুই, কালীগঞ্জের জুড়ানপুর পঞ্চায়েতের এইরকমই একটি চরকুঠুরিয়া বলে জায়গা রয়েছে। ২০২২ সালে সেখানে সাংসদ তহবিলের ৬১ লক্ষ টাকা দিয়ে কালভার্ট ও সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হয়েছে। তিন, নাকাশিপাড়ার চরকুর্মিপাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ। যদিও সেটা সাংসদ তহবিলের কাজ নয়। রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর সেই কাজ করেছে। কিন্তু আমি অনুঘটকের কাজ করেছি। এছাড়া ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের সংস্কার করা হচ্ছে।
কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। বিষয়টি পার্লামেন্টে আমি বারবার তুলেছি। শেষপর্যন্ত এই জায়গায় নতুন করে সমীক্ষা করানোর অর্থ রেলমন্ত্রককে দিয়ে বরাদ্দ করাতে পেরেছি। চলমান সিঁড়ির তালিকায় প্রথমে কৃষ্ণনগর স্টেশনের নাম ছিল না। আমি বারবার এই বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলাম। অবশেষে এই চলমান সিঁড়ি কৃষ্ণনগর স্টেশনে তৈরি হয়েছে।
সাংসদদের ২৫ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু করোনার কারণে দেড় বছরের সাড়ে সাত কোটি টাকা আমরা পাইনি। কৃষ্ণনগর লোকসভায় মোট ৯৭টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। সুযোগ পেলে সেই কাজ করব। বিজেপি সরকার কর্পোরেটের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। কেই কারণেই কথা বলার অনুমতি না দিয়েই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা বিজেপির চরম ঔদ্ধত্যের লক্ষণ। এই লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ ইভিএমে তার জবাব দেবে। কাজ নিয়ে আমার দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না।