গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মূলধারার বিষয়গুলির সিলেবাস তৈরির ক্ষেত্রে এনসিইআরটির গাইডলাইন মেনে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বৃত্তিমূলক বিষয়গুলির সিলেবাস দিয়ে থাকে এনসিইআরটির অধীন স্বশাসিত সংস্থা, ভোপালের পণ্ডিত সুন্দরলাল শর্মা সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ভোকেশনাল এডুকেশন। ইংরেজিতে আসা সেই সিলেবাস নিজেদের মতো পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে বাংলায় সঙ্কলন করে প্রচার করে থাকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংসদ। তা থেকেই তৈরি হয় বই। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সিলেবাস এলেও তা সঙ্কলন করে বই তৈরির কাজ হয়নি।
বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক শিক্ষক পরিবারের তরফে শুভদীপ ভৌমিক বলেন, ‘শিক্ষকরা মোবাইলে ছাত্রছাত্রীদের সিলেবাসভিত্তিক নোটস দিচ্ছেন। তার ভিত্তিতেই পরীক্ষায় বসছে ছাত্রছাত্রীরা। কোনও ল্যাব পরিকাঠামো নেই স্কুলগুলিতে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে উচ্চ মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষার শংসাপত্র তো বটেই, উৎকর্ষ বাংলার শংসাপত্রও পাচ্ছে তারা। এভাবে এতগুলি বিষয় চলতে পারে না।’ তাঁদের দাবি, রাজ্যের ৭২৬টি স্কুলে দু’টো করে বিষয় পড়ানো হয়। নবম-দশম শ্রেণিতেও একটি করে বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ে থাকে ছাত্রছাত্রীরা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অন্তত ৩১ হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
এই বিপুল কর্মকাণ্ড যে ল্যাব ও বইপত্র ছাড়াই চলছে, তা কি প্রশাসনের নজরে আনা হয়নি? শুভদীপবাবুর বক্তব্য, গত বছরেই হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে কারিগরি শিক্ষাদপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। বই ছাড়াই পঠনপাঠনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কারিগরি শিক্ষাদপ্তরের সচিব অনুপকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’