পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
মামলাকারী সরকারি কর্মীরা ডিএ মামলা ট্রাইব্যুনালে নতুন করে বিচার করার আবেদনই করেননি। ট্রাইব্যুনালে মামলাটি ফেরত পাঠানো যুক্তিসম্মত কি না, সেই প্রশ্নে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে কোনও বক্তব্য পেশ করার সুযোগই পায়নি। তৃতীয়ত, আইনি যুক্তি অনুযায়ী এমন নির্দেশ (ট্রাইব্যুনালকে বিষয়টির পুনর্বিচারের) হাইকোর্ট দিতে পারে না। পুনর্বিচার করার আবেদনে রাজ্য সরকার মূলত এমনই সওয়াল খাড়া করেছে।
এই বিতর্কের শুরুতে ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে বলেছিল, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া সরকারি কর্মীদের অধিকার নয়। কিন্তু, যেসব যুক্তিকে সামনে রেখে ওই কর্মীরা আদালতে গিয়েছিলেন, সেগুলি ট্রাইব্যুনাল আর বিবেচনা করেনি। কিন্তু, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট জানিয়ে দেয়, ডিএ প্রাপ্তি কর্মীদের অধিকার। সেইসঙ্গে যে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করেনি, সেগুলি বিচারের নির্দেশ দেয়। সেই দু’টি বিষয় হল— ১) কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের সমহারে মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি ন্যায়সঙ্গত কি না। ২) নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বঙ্গভবন ও চেন্নাইয়ের ইউথ হস্টেলে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা এ রাজ্যে কর্মরতদের তুলনায় বেশি মহার্ঘ ভাতা পান। এই বৈষম্য ন্যায়সঙ্গত কি না?
সেই সূত্রে ট্রাইব্যুনালে অন্তত আট দিন মামলাটির শুনানি হয়। ২৪ জানুয়ারি তার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেদিনই ট্রাইব্যুনালের চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু, রাজ্য সরকার তার আগেই হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করে। দাবি করা হয়, মূল মামলাটিকে ফের ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য মামলাকারী সরকারি কর্মীরা হাইকোর্টে হওয়া সওয়ালে প্রতিষ্ঠিতই করেননি।
বেশ কয়েকদিন ধরে চলা এই নয়া মামলার শুনানিতে বেঞ্চ বিভিন্ন সময়ে বলেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে ভুল থাকলে যেতে হবে উচ্চতর আদালতে। কিন্তু, তথ্যগত ভুল থাকলে তা বেঞ্চ বিবেচনা করতে পারে। ‘রিভিউ পিটিশন’ মারফত এটুকুই করা যেতে পারে। যদিও সেই ভুল নির্দিষ্টভাবে দেখাতে ও প্রমাণ করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে এদিন মামলাটির শুনানি শেষ হল।