পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে দেশে ৬০০টি কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদের প্রত্যেকেরই মান সন্তোষজনক ছিল না। ক্রমশ মানের অবনতি হয়েছিল তাদের। কিন্তু যে সব কলেজের মান ঠিকঠাক রয়েছে, তারা আরও কী করে নিজেদের মান উন্নত করতে পারে, তার জন্য নানাভাবে সাহায্য করছে এআইসিটিই। কিন্তু এবার সেই সব কলেজকে পরীক্ষায় বসতে হবে। তার ফলের উপর নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট কলেজ আগামীদিনে চলবে কি না। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মানোন্নয়নের পরীক্ষায় পাশ করার জন্য চার বছর সময় দেওয়া হবে। তার মধ্যে কোনও অগ্রগতি চোখে না পড়লে, সেই কলেজকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এদিকে, পড়ুয়া ভর্তি করাতে পারবে না, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে কাউন্সিল জানিয়েছে, ২০১৮-’১৯ সালে সারা দেশে আটটি কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষে ১৬২টি কলেজ ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে পারবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এআইসিটিই। এই সংখ্যা ২০১৭-’১৮ সালে কিছুটা কম ছিল। ওই বছর ১০টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল এবং ৭৫টি কলেজকে পড়ুায় ভর্তি করতে নিষেধ করা হয়েছিল। ২০১৬-’১৭ সালে দেখা যাচ্ছে, অনুমোদন বাতিল হয়েছিল তিনটি কলেজের এবং ভর্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ৬২টি কলেজে। এই শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছর দেশজুড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি যেভাবে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা মানোন্নয়নে পিছিয়ে পড়ছে, তাতে আগামীদিনে বড়সড় সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষামহলের ব্যাখ্যা, এআইসিটিই আসন কমানো বা নতুন কলেজের অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, এই সমস্যা এখনই মিটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় বড়সড় সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।