কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
ঘটনার পর ইকো পার্কে নজরদারি আরও আঁটোসাঁটো করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ। চিলড্রেন্স পার্কে থাকা ওই পুকুর সহ ইকো পার্কের ভিতরে সব পুকুরের ধারে বাঁশের খুঁটি পুঁতে দড়ি দিয়ে বেড়া দেওয়া হল। হিডকোর এক আধিকারিক জানান, আমরা প্রথমে ইকো পার্কের ভিতরে থাকা বড় ঝিলকে ঘেরার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ ওখানে গভীরতা অনেক বেশি। তুলনায় ওই সব পুকুরগুলি কম গভীর। এদিন আমরা শিশুদের সেখান থেকে দূরে রাখার কথা বলে অনেকগুলি সাইনবোর্ডও টাঙিয়েছি। এখানে ৭২টি সিসিটিভি রয়েছে। আমরা এর সংখ্যা আরও বাড়াতে চলেছি। এর পাশাপাশি, নিরাপত্তার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে কেউ পুকুরের দিকে এগলে ‘ফেস রেকগনিশনের মাধ্যমে’ সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোলরুমে তার সঙ্কেত চলে আসে। এছাড়া আমরা একটা কমিটি করেছি তারা খতিয়ে দেখবে, কোথায় কীভাবে লোক বাড়িয়ে নজরদারি করা যায়।
এদিকে, ওই ঘটনার পর এদিন ইকো পার্কে যাঁরা ঘুরতে এসেছেন তাঁদের অনেকেরই মধ্যে শিশুকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এরকম ছবিও দেখা গেল, শিশুকে ছেড়ে দিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা অন্য জায়গায় গল্পে মজে রয়েছেন দেখে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের সতর্ক করলেন। তবে ইকো পার্কের সামগ্রিক ছবিটা ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। কসবা থেকে সপরবিার এদিন ইকো পার্কে এসেছিলেন শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আমি এদিন খবরের কাগজ পড়ে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। খারাপ লাগছে। তবে আমি মনে করি আমাদেরও সাবধানে থাকতে হবে। ডায়মন্ডহারবার থেকে আসা দীনেশ পলতা জানালেন, এখানে সবাই তো সচেতন করে দিচ্ছে। এমনকী সুইপার পর্যন্ত বলে দিচ্ছে। তবে, গত বছর এপ্রিলে রাইডে শিশুদের দুর্ঘটনা ও এবার এই শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের নজরদারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।