কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, আমরা লাগাতার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাব। আপাতত ৪৪টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি বলে সেখানে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু, অন্য ওয়ার্ডেও যাতে এই প্রকোপ না বাড়ে, তার জন্য সেখানেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডেই নর্দমা পরিষ্কার, মশা মারার তেল, ব্লিচিং পাউডার ছিটানো ও ফগিং করা হবে। যে ১২টি জোন ভাগ করা হয়েছে, সেখানকার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটররা ওই এলাকা পরিদর্শন করে কাজ সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন।
ইতিমধ্যেই কাজে গাফিলতি ও পুরসভাকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের ১৪০ জন কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। পুজোর পর থেকেই শহরে মশার দাপট ভয়ঙ্কর বেড়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই মশার দাপটে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। অথচ পুরসভার পক্ষ থেকে এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই কারণেই ওই ১৪০ জনকে শোকজ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত উত্তর হাওড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানেই প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও দক্ষিণ হাওড়ায় প্রায় ৫০০ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মধ্য হাওড়ায় তুলনামূলক কম ডেঙ্গু হয়েছে। সবচেয়ে কম ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র ৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকারিভাবে রিপোর্ট। কিন্তু, ওই ওয়ার্ডেও মশার দাপটে সাধারণ মানুষ টিকতে পারছেন না। এই এলাকায় কয়েকদিন আগেই পুরসভার অফিসাররা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে নর্দমা পরিষ্কার আছে। কিন্তু, সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এখানে মশা মারার তেল দেওয়া হয়নি ও ফগিং করা হয়নি। তার জন্যই মশা বেড়েছে। ফলে এই এলাকার লোকজনও ডেঙ্গুর আতঙ্কে ভুগছেন।
পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসাররা বলেছেন, ঠান্ডা ভালোরকম না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে না। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝির আগে ভালো রকম ঠান্ডা পড়বে না বলেই আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে। কাজেই আপাতত আগামী ১৫ দিন এই অভিযান যেমন চালানো হবে, তেমনই তার পরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমলে অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক-দু’দিন অন্তর প্রতিটি ওয়ার্ডে এই অভিযান চলবে।