উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
হঠাৎ করে কেন আলুর দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে? কৃষি দপ্তর সূত্রের দাবি, অক্টোবর মাসের গোড়ায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ জেলায় অকাল বৃষ্টি এর অন্যতম কারণ। যার জেরে রাজ্যে প্রথম আলুর চাষ প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিনের মতো পিছিয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কালীপুজোর পর থেকে ছটপুজো পর্যন্ত এই সময়ে বহু শ্রমিক ছুটি নেন। যার জেরে হিমঘরগুলি থেকে আলু কার্যত বের হয় না। ফলে বাজারে চাহিদামতো জোগান না থাকায় দাম বাড়তে শুরু করে। ওই কর্তা আরও বলেন, এই দামবৃদ্ধির জন্য একশ্রেণীর আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকের অশুভ আঁতাঁতও দায়ী। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে হিমঘর থেকে আলু বের করার গতি কমিয়ে বাজারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করা হয়। যার জেরে দাম বাড়তে শুরু করে।
যদিও কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, মরশুমের সর্বপ্রথম আলু চাষের সময় পিছিয়ে যাওয়া একদিকে চাষিদের পক্ষে মঙ্গলকর। কেননা, চলতি মরশুমে আলুর দাম বিরাট একটা বাড়েনি। বহু চাষির কাছে এখনও আলু রয়ে গিয়েছে। কারণ, অনেকেই কম দামে আলু ছাড়েননি। তার উপর পরবর্তী মরশুমে বীজের জন্য চাষিদের কাছে অনেক আলু থেকে যায়। গত কয়েকদিনে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন বলে দাবি ওই সরকারি কর্তাদের একাংশের। যদিও আলুর সঙ্গে সরাসরি জড়িত বিভিন্ন মহলের পাল্টা বক্তব্যও মিলেছে। তাঁদের দাবি, প্রান্তিক শ্রেণীর আলু চাষিদের হাতে কোনও আলু নেই। মরশুমের প্রথমে প্রায় লোকসান করে সেই আলু কারবারিদের কাছে বেঁচে দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। এখন চাষের জন্য বীজ কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। স্বভাবতই লাভ তো দূরের কথা, ঘরের পয়সা লাগিয়ে পরবর্তী চাষের প্রস্তুতি শুরু করতে হচ্ছে। অন্যদিকে, পাইকারি ও খুচরো বাজারের মধ্যে আনাজপাতির দামের ফারাক ফের বাড়তে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরও উদ্যোগী হওয়ায় দাবি তোলা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে।