উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
সড়কপথে পার্সেল ও চিঠি পাঠানোর নতুন উদ্যোগটির নাম দেওয়া হয়েছে রোড ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক প্রজেক্ট। দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, ডাক বিভাগের তরফে ভাগ করা একটি সার্কেল থেকে অন্য সার্কেলে পণ্য বা চিঠি পৌঁছতে সড়কপথ ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি জাহাজ, রেল ও বিমানপথ ব্যবহারও আগের মতোই চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কর্তাদের বক্তব্য, রেলে পার্সেল পরিবহণের ক্ষেত্রে জায়গা সঙ্কুলানে সমস্যা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি বিমান সংস্থাগুলি পচনশীল পণ্যকেই প্রাধান্য দেয় তাদের পরিবহণে। সেক্ষেত্রে ট্রাকে পার্সেল চাপিয়ে, তা অন্যত্র পাড়ি দেওয়া এখন অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য পন্থা, বলছেন তাঁরা। আড়াই ও সাড়ে চার টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রাকে তাই পার্সেল ও চিঠি বহন করা হবে।
চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, আমরা আপাতত তিনটি রুটে প্রকল্পটি চালু করছি। কলকাতা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত রুটে ট্রাক চলবে, যা শিলিগুড়ি হয়ে যাবে। কলকাতা-পাটনা রুটে ট্রাক চলবে ধানবাদ ও গয়া হয়ে। কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত রুটে ট্রাক যাবে খড়্গপুর হয়ে। আগামী দিনে আরও দু’টি রুট চালু করা হবে। সেগুলি হল কলকাতা থেকে বাঁকুড়া ভায়া বর্ধমান এবং কলকাতা থেকে রাঁচি। গৌতমবাবুর বক্তব্য, মূলত পার্সেল পাঠানোর বিষয়টিকেই তাঁরা এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এতে ই-কমার্স ব্যবসায় তাঁরা আরও ভালো ভূমিকা নিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
যেখানে রেল সংযোগ নেই, সেখানে গাড়িতে চাপিয়ে পণ্য পাড়ি দেওয়ার রীতি ছিল ডাক বিভাগে। এবার সার্কেলগুলির মধ্যেও সেই পরিষেবা চালু হল। তবে বিমান ও রেলপথকেও একইভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তারা।