উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশ দফা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র। রাজ্যের ২০৪টি মহকুমায় এখনও সেই অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করে চলেছেন। আদালতের রায় সত্ত্বেও এই কর্মীদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি পূর্ববর্তী কোনও সরকার সহানুভূতি সহ বা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বিবেচনা করেনি। বর্তমান সরকারের শীর্ষ স্তর থেকে আশ্বাস মিললেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে বিষয়টি লাল ফিতের ফাঁসে আটকে ছিল। সাম্প্রতিককালে রাজ্যের এমন কর্মীদের তরফে তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় উক্ত মন্ত্রকে যোগাযোগ করেন। সেই সূত্রে শীঘ্রই সরকারি নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২৩ নভেম্বর কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র অধিগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিল, হয় এই প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করা হোক, নয়তো তাদের এমন স্বীকৃতি দেওয়া হোক, যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ দফা কর্মসূচির সব কাজ কেবিএসকে’র মাধ্যমে হতে পারে। কিন্তু, প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কর্মীর চাকরি স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া থমকেই থাকে। সেই জট সম্প্রতি কেটেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সূত্রে প্রথম দফায় ৪২০০ কর্মীর নামের তালিকা জমা হবে। পরবর্তী ধাপে জমা পড়বে বাকি ২৩০০ কর্মীর নামের তালিকা। এর ভিত্তি হিসেবে রাজ্যের কেবিএসকে সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষি মন্ত্রক সম্প্রতি কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে কাজ করে চলা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে এক চিঠিতে বলেছে, আদালতের নির্দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আসা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মরত কর্মী সহ এই রাজ্যের কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রগুলির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের কাছে এজন্য অতিরিক্ত অর্থও প্রার্থনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনটি ধাপে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। মূলত লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক এবং কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক হিসেবে এঁদের নেওয়া হবে।