আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
যদিও কোনওরকম আলোচনা ছাড়া জমি খালি করতে নারাজ ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের দাবি, দোকানগুলি যে জায়গার উপর অবস্থিত রয়েছে তা বিশ্বভারতীর কিনা তা সঠিকভাবে জানানো হোক। অপরদিকে উঠে যেতে হলে তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিক। কারণ এই সমস্ত দোকানগুলির উপর কয়েকশো পরিবার নির্ভরশীল। তাই, সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় রয়েছেন ব্যবসায়ী থেকে পর্যটক সকলেই।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীতে কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিলেন না। গত বছর নভেম্বর মাসে উপাচার্যের পদে নিযুক্ত হন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কিছুদিন পর থেকেই বিশ্বভারতীর বিভিন্ন এলাকায় বেআইনিভাবে দখল করে থাকা জমি পুনরুদ্ধার করা শুরু হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রতনপল্লি সংলগ্ন অমর্ত্য মার্কেট। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ও অপরিচ্ছন্নভাবে চলতে থাকা বেশ কয়েকটি দোকান ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়াও বিনয় ভবন ছাত্রাবাসে ও নন্দ ভবন ছাত্রাবাস সহ বেশ কিছু জায়গায় দখল মুক্ত করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। দখলমুক্ত অভিযানে নেমে বিশ্বভারতীর সীমানা বরাবর নিশা লজ সংলগ্ন কবিগুরু হ্যান্ডিক্রাফট মার্কেট খালি করারও নির্দেশিকা জারি করা হয়। চলতি মাসেই সেই নির্দেশিকা জারি করা হয়। যাতে জানানো হয়, ১ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত এলাকা খালি করে দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। তবে ব্যবসায়ীরা কোনওরকম পুনর্বাসন ছাড়া জমি ছাড়তে রাজি নয়। তাই রবিবার জায়গা খালি করার শেষ দিন হলেও বাজার চলছে জোরকদমে।
ব্যাবসায়ীদের আরও দাবি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে জমি থেকে তাঁদের উঠে যাওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে, সেই জমি কার তা নিয়ে কোনও সঠিক ধারণা নেই কারও। জারি করা নির্দেশিকা কোনও দাগ নম্বরের উল্লেখ করা হয়নি। বিশ্বভারতীর কর্মসচিব ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানালেও এখনও তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই দোকানদাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার।
কবিগুরু হ্যান্ডিক্রাফট মার্কেটের সম্পাদক আমিনুল হুদা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় ব্যবসা করছেন সকলে। প্রায় ৫৫০টি পরিবারের রুজি-রুটি জড়িয়ে আছে এই মার্কেটের উপর। তাই কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিক। আমরাও বিশ্বভারতীর উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের পক্ষে রয়েছি। এব্যাপারে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয়ে যা করণীয় তা শীঘ্রই করা হবে। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রায় দুই দশক ধরে এখানে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের ব্যবসা করছেন সেন্টু হাজরা, খোকন হাজরা। তাঁরা বলেন, দোকান উঠে গেলে আমাদের পথে বসতে হবে। তাই আমাদের ব্যাপারে বিবেচনা করুক কর্তৃপক্ষ।