বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ওই এলাকায় একটি অস্থায়ী খড়ের চালায় রাতে আগুন লাগে। ঘটনায় দু’জন মহিলা সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গণেশ মাণ্ডিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। গণেশ শ্রীমতির স্বামী বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, মৃতদেহগুলির ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে জায়গাটিতে আগুন লেগেছিল সেখানে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করানো হবে।
কিসমত কোতলপুর এলাকায় চাষের কাজ করার জন্য গণেশ মাণ্ডি ও তাঁর স্ত্রী মাস তিনেক আগে ওই গ্রামে আসেন। তাঁরা বেশিরভাগ কাজ গ্রামের রাজকুমার পণ্ডিতদের করার ফলে তাঁরাই ওই দম্পতিকে একটি ডোবার সামনে অস্থায়ী ভাবে থাকার জন্য একটি জায়গা দেন। সেখানেই খড়ের ছাউনি এবং খড়ের ঘেরা দিয়ে একটি কুঁড়ে করে তাঁরা থাকছিলেন। রবিবার রাতে ওই কুঁড়ে ঘরটি পুড়ে যায়।
পুলিস জানিয়েছে, মাণ্ডি পরিবারের সঙ্গে সন্তোষ দাসের পরিবারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সন্তোষ দাস ও তাঁর স্ত্রীও শ্রমিকের কাজ করতেন। দুই পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। রবিবার সন্তোষবাবু স্ত্রীকে নিয়ে গণেশ মাণ্ডির বাড়িতে আসেন। তাঁরা সকলেই কুঁড়ে ঘরে ছিলেন। আগুনে পুড়ে তাঁরাও মারা গিয়েছেন বলে গণেশ মাণ্ডি পুলিসকে জানিয়েছেন।
রাত ১টা নাগাদ গণেশই রাজকুমারবাবুদের ডাকাডাকি করে ঘুম থেকে তুলে জানান, তিনি তাঁর স্ত্রী শ্রীমতিকে বাঁচাতে পারেননি। আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে। ওই আগুনের মধ্যে আরও দুজন তাঁর পরিচিতও পুড়ে মারা গিয়েছে।
রাজকুমারবাবু বলেন, খবর শুনে গিয়ে দেখি, কুঁড়ে ঘরটির প্রায় সবটাই পুড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করেন। আগুন নিভে গেলে দেখা যায়, তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকেই চেনা যায়নি।
জিজ্ঞাসাবাদে গণেশ পুলিসকে জানিয়েছে, রবিবার সন্তোষ ও তাঁর স্ত্রী সুন্দরী মুর্মু গণেশদের বাড়িতে আসে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করার পর কিসমত কোতলপুরের পাশের গ্রামে পঞ্চমীর মেলা দেখতেও যান। সেখান থেকে ফিরে নেশা করার পর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে ধোঁয়া ও আগুনের তাপে গণেশের ঘুম ভেঙে যায়। তখন তিনি কোনও মতে বেরিয়ে আসেন।
সোমবার সকাল থেকে পুলিস ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখে। ফরেন্সিক দপ্তরের আধিকারিকরা আজ, মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে আসবেন। পরিচয় জানার জন্য পুলিস তিনটি মৃতদেহেরই ডিএনএ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করছে। পুলিসের এক কর্তা বলেন, ডিএনএ সংগ্রহ করে গণেশ মাণ্ডি যাঁদের নাম বলছেন, তাঁদের রক্ত সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ করা হবে। তারপরই পুলিস মৃতদের নাম ঘোষণা করবে।