নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
আম বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এমনিতেই মালদহের আম বাজারে আসে খানিকটা দেরি করেই। জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি হয়ে যায় স্থানীয় আম পেতে। তার উপর প্রাকৃতিক কারণে মালদহের আমের ফলনও এবার প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নদীয়া বা দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আমেই আপাতত রসনার তৃপ্তি ঘটাচ্ছেন মালদহের আম প্রেমীরা। মালদহের দেশি আমগুলির মধ্যে বৈশাখী, গুঁটি, গোপালভোগ, হিমসাগর, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি, মল্লিকা ইত্যাদি সারাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সুখ্যাতি কুড়িয়েছে। কিন্তু বৈশাখের শেষেও দেখা নেই কোনও আমেরই। তার বদলে বিক্রি হচ্ছে গোলাপখাস কিম্বা বেগুনফালি প্রজাতির আম। সেই সব আমের দামও আকাশছোঁয়া। গোলাপখাস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে। এছাড়াও নদীয়া থেকে আসছে সেখানকার হিমসাগর আম। দর প্রতি কেজি ১০০ টাকা।
মালদহ শহরের দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন বাজারের ফল ব্যবসায়ী সুকুমার সাহা, মুন্না সাহাদের বক্তব্য, যেহেতু জেলার স্থানীয় আম এখনও বাজারে আসেনি তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে নদীয়া বা চেন্নাইয়ের আম কিনছেন। স্থানীয় আম বাজারে আসতে আরও অন্তত ১৫ দিন সময় লাগতে পারে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ওই বাজারে আম কিনতে আসা মালদহ শহরের বাসিন্দা শ্যামল গুপ্ত বলেন, বৈশাখ এলেই আম খাওয়ার ইচ্ছেটা চাগাড় দিয়ে ওঠে। মালদহের স্থানীয় আম তো বাজারে মিলছে না। অগত্যা ভরসা করতে হচ্ছে অন্য জেলা বা রাজ্যের আমের উপরেই। ইংলিশবাজার শহরের এক বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মী অশোক সরকার বলেন, বৈশাখ মাস শেষ হয়ে গেল, আর আমের জেলায় থেকে আম খাব না তা কী হয়! লোকাল অর্থাৎ স্থানীয় আম এখনও বাজারে না এলেও বাইরের আমেই রসনা তৃপ্তি করছি। এগুলি অবশ্য মন্দ না। কিন্তু একটু বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, এমনিতেই মালদহের স্থানীয় আম একটু দেরি করেই বাজারে আসে। এবার ফলনও কম হওয়ার আশঙ্কা। তাই চাহিদা ও প্রাপ্তির মধ্যে খানিকটা ঘাটতি থাকবেই।