বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ফলে মন খারাপ নিয়েই এবার ইভিএম নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ছুটলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শিক্ষক, শিক্ষিকারা। জেলায় প্রায় তিনশোর বেশি এমন শিক্ষক, শিক্ষিকা ভোটের ডিউটি করছেন। ভোটের একেবারে প্রাক্কালে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার ফলে নির্বাচন কমিশন শেষপর্যন্ত ওই ভোটকর্মীদের কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার ভোট। তার আগে বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের ডিসিআরসি সেন্টারে মনখারাপের চিত্র ধরা পড়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে হাইকোর্টের রায় দেখেছি। যেহেতু নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য সরকারের তরফে এনিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি, তাই আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এগোচ্ছি। ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে জেলাশাসক বলেন, আজকে জেলার দু’টি ডিসিআরসি সেন্টার থেকে ভোটকর্মীরা রওনা হয়ে গিয়েছেন। সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে চাকরিহারা ভোটকর্মী রাকেশ আলম এবং দেবপ্রিয়া কর্মকার বলেন, আমরা স্বচ্ছভাবেই চাকরি পেয়েছি। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমরা এমনটা আশা করিনি। এই ভোটের ডিউটি বাতিলের জন্য কোনও নির্দেশ পাইনি। তাই মন খারাপ হলেও ডিউটি করতে হচ্ছে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর চাকরিহারা শিক্ষকরা বালুরঘাটের জমায়েত করেছিলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। তাঁরা জানিয়েছিলেন, রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। তারপরই ভোটের ডিউটিতে না পাঠানোর জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশনের তরফে এবিষয়ে কোনও নির্দেশিকা না আসায় ওই চাকরিহারা শিক্ষকদের ভোটের ডিউটি করতে হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় তিনশোর বেশি শিক্ষক ভোটের ডিউটি করতে গিয়েছেন। মানসিক আবস্থা খুব খারাপ থাকলেও এছাড়া তাঁদের কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না। বৃহস্পতিবার ডিসিআরসি সেন্টার ঘুরে দেখেন জেলাশাসক। কথা বলেন ভোটকর্মীদের সঙ্গে। শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হবে ভোট। তাই জেলার ভোটকেন্দ্রগুলিতে এদিন বিকেল থেকে গিয়ে থাকতে শুরু করেছেন ভোটকর্মীরা। সব কেন্দ্রেই এবার ওয়েবকাস্টিং হবে। কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কিছু জায়গায় নেটওয়ার্কের সমস্যা হতে পারে। সেরকম হলে ভিডিও রেকর্ড করা হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। পাশাপাশি, ক্রিটিকাল বুথগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারিতে ভোট হবে।