উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তবে কৃষ্ণেন্দুবাবুর অনুপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করা সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন দলের প্রায় সব নেতানেত্রীই। তাঁদের অনেককেই এব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে বেশিরভাগেরই উত্তর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কে আসবেন বা আসবেন না, তা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। এই বিষয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ মালদহ বিমানবন্দরে হেলিকপ্টারের করে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর, দলের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহার ঘোষের পাশাপাশি সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীও হাজির ছিলেন।
কিন্তু তারপরে অন্যান্য নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় বৈঠক ও প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে পৌঁছলেও সেখানে দেখা যায়নি রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে। ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য সাবিত্রী মিত্রও। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচকের ভূতনি সেতুর উদ্বোধনের জন্য আগেই সাবিত্রীকে সেখানে যাওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। সেই অনুযায়ী রওনা হয়ে যান সাবিত্রীও। ফলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় বা প্রশাসনিক বৈঠকে দেখা যায়নি। এদিন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মালদহ ছাড়ার সময় বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন সাবিত্রী মিত্র।
তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে তো আমি গিয়েইছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো কর্তব্য মনে করি বলেই গিয়েছিলাম। প্রশাসনিক বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। বিনা আমন্ত্রণে আমি যেতে রাজি নই। আমি দীর্ঘদিন মন্ত্রী থাকার সুবাদে প্রোটোকল কী, তা জানি। মেনেও চলি। তাই প্রশাসনিক বৈঠকে যাইনি।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় বৈঠকে তাঁকে থাকার কথা জেলা সভানেত্রী না জানানোর জন্যই যে তিনি ওই বৈঠকে যাননি, তাও খোলাখুলি জানিয়েছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানানোর সময় বিমানবন্দরে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর বক্তব্য, আমি পেশায় আইনজীবী। আদালতে কিছু মামলা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাছাড়া আমি ১৯৮৫ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি। নতুন করে লোক দেখানোর জন্য কিছু করার আমার প্রয়োজন পড়ে না।
দলীয় বৈঠকে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে না ডাকার বিষয়টি নিয়ে মৌসমের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বিমানবন্দরেই সকলের সামনে দলকে নিয়ে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তার আগে বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগের দিনই কৃষ্ণেন্দুবাবু সহ সব নেতানেত্রীকেই তাঁর সম্ভাব্য কর্মসূচি জানিয়েছিলাম ফোন করে। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে কৃষ্ণেন্দুবাবুকেও থাকার কথা দলের এক নেতার মাধ্যমে জানানো হয়েছিল বলে জেনেছি। আমরা সকলেই চাই, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সামগ্রিক ঐক্যের বাতাবরণ বজায় থাকুক জেলায়।