উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এই ব্যাপারে বনবিভাগের মাথাভাঙার রেঞ্জার সজল পাল বলেন, হাজরাহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের যে বনাঞ্চল আছে সেখানে নদী ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের বনাঞ্চলের কিছুটা অংশ নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য দপ্তরে আর্জি জানিয়েছি। এনিয়ে নির্দেশ এলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
হাজরাহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুম্পা বর্মন বলেন, দৈভাঙি ও মহিমেরকুঠিতে নদীভাঙনের সমস্যা রয়েছে। ওই এলাকার বেশকিছু পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে অন্য জায়গায় চলেও গিয়েছে। আমরা প্রতিবছর বর্ষার আগে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কিন্তু সেটাও খুব একটা কার্যকরী হয় না। জেলা পরিষদ ও স্থানীয় বিধায়ককে পাড় বাঁধ তৈরি করার জন্য আমরা আর্জি জানিয়েছি।
সেচদপ্তরের মাথাভাঙার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার সুভাষবন্ধু ভট্টাচার্য বলেন, হাজরাহাট-১’র দু’টি গ্রাম মানসাই নদীর ভাঙনপ্রবণ এলাকা হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা ওই এলাকায় বাঁধ তৈরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এনিয়ে ওপর মহলে রিপোর্টও পাঠানো রয়েছে। আশা করি, আগামী দিনে পাড়বাঁধ তৈরি করা হবে।
যদিও এসব প্রতিশ্রুতি শুনতে রাজি নন স্থানীয় বাসিন্দা প্রফুল্ল বর্মন, শিবেন বর্মনরা। তাঁরা বলেন, ভাঙন রোধে পাড়বাঁধ তৈরির দাবি বহুবছর ধরে করে আসছি। আগামী বর্ষার আগে পাড়বাঁধ না হলে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করব।
হাজরাহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দৈভাঙি, মহিমেরকুঠি দিয়ে বয়ে গিয়েছে মানসাই নদী। মানসাই নদীর ভাঙনে বিগত কয়েক বছরে ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে ২০০টি পরিবারকে। ওই এলাকায় ভাঙনের প্রবণতা এতটাই যে বর্তমানে সরকারি যে বনাঞ্চল রয়েছে সেই বনাঞ্চলকে গ্রাস করতে মানসাই নদী এগিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে বনাঞ্চলের বেশকিছুটা অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। অনেক মূল্যবান গাছ ভেসে গিয়েছে। একইসঙ্গে বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকার কৃষিজমিও ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সেচদপ্তর সকলকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। ভাঙন প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বনদপ্তরও বলে দাবি স্থানীয়দের। বর্ষার সময়ে নদীর জলস্ফীতি হলে যেমন ভাঙন হয়, তেমনি শুকনো মরশুমে জল কমলেও ভাঙন চলতে থাকে। বর্ষা চলে যাওয়ায় এখনই এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, না হলে আগামী বর্ষায় বনাঞ্চল সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে যাবে।