বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এই মুহূর্তে সারা দেশে মোট ২৬ জোড়া গরিব রথ ট্রেন চলাচল করে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে রয়েছে তিনটি রুটে চলাচলকারী গরিব রথ ট্রেন। কলকাতা-পাটনা, কলকাতা-গুয়াহাটি এবং হাওড়া-পুরী। ২০০৬ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের সময়ে প্রথম এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। সেইসময় বিহার এবং পাঞ্জাবের মধ্যের একটি মাত্র রুটে এটি চলত। পরবর্তীক্ষেত্রে সারা দেশে মোট ২৬ জোড়া গরিব রথ ট্রেন চলতে শুরু করে। এই তালিকায় যুক্ত হয় কলকাতাও। থ্রি-টিয়ার এসির এই ট্রেনের ভাড়া অন্য যেকোনও দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের থ্রি-এসির ভাড়া থেকে যাত্রীপিছু অন্তত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম। অথচ গতিবেগ ঘণ্টায় রাজধানী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের প্রায় সমান। ফলে আমজনতা, বিশেষ করে আর্থিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে থাকা মানুষের কাছে এই ট্রেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। যে কাঠগোদাম-জম্মু গরিব রথের যাত্রীপিছু ভাড়া ছিল ৭৫৫ টাকা, এক্সপ্রেস হিসেবে চলতে থাকায় থার্ড এসিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় মাথাপিছু ১ হাজার ৭০ টাকা। একইভাবে কাঠগোদাম-কানপুরের ক্ষেত্রে তা যাত্রীপিছু ৪৭৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬৭৫ টাকা।
রেল সূত্রের খবর, ভাড়ার পরিমাণ কম থাকায় রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে, মূলত এই কারণ দেখিয়েই বিভিন্ন পর্যায়ে গরিব রথ ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল রেলমন্ত্রক। কিছু ক্ষেত্রে গরিব রথের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট রুটে অপেক্ষাকৃত বেশি ভাড়ার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে বলে ঠিক করেছিল রেলমন্ত্রক। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হওয়ায় মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং রেলমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গারি। তারপরেই আজ রেলমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, গরিব রথ ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ করার কোনও প্রস্তাব মন্ত্রকের কাছে নেই।