নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত দেগঙ্গা। বারাসত শহরের একেবারে লাগোয়া এলাকা থেকেই শুরু হয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্র। এখানকার প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। গত লোকসভা ভোটে সংখ্যালঘু মানুষজন ৬০ শতাংশ ভোটের জোগান দিয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। এই লিডই সাফল্য এনে দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোটের বিন্যাসের বদল হয়েছে। মাত্র দু’ বছরের ব্যবধানে ৬০ শতাংশ ভোট নেমে আসে ৪৭ শতাংশে। অন্যদিকে, নয়া দল আইএসএফের ভাঁড়ারে জুটেছিল ৩২ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ১৮ শতাংশ। এর থেকেই স্পষ্ট, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। তবে, ইদানীং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাত্রা কিছুটা কমেছে। ফলে পুরনো ভোট অনেকটাই ঘরে ফিরবে বলে আশাবাদী নেতৃত্ব। আইএসএফ যাতে সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে না পারে, তার জন্য তাদের সমর্থন করে ভোট নষ্ট না করার আহ্বান জানাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। বলছেন, আইএসএফ হল বিজেপি’র ভোটকাটুয়া। দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা মফিদুল হক সাহাজি বলেন, আমাদের বিধানসভা এলাকায় মোট ২৬২টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথ এলাকায় বৈঠক করছি। গত পঞ্চায়েত ভোটে তার মধ্যে ৩৬টি বুথে বিশৃঙ্খলা হয়। সেইসব বিতর্কিত বুথে নজর রাখছি আমরা। গত লোকসভা ভোটে কাকলি ঘোষ দস্তিদার দেগঙ্গা থেকে ৭০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। সেই ব্যবধান যাতে এবারও থাকে, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট। যদিও আইএসএফের দাবি, মাটি হারিয়ে তৃণমূল এখন মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আইএসএফের জুজু দেখছে তারা।