নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: রাতে ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। তা সত্ত্বেও ঘর থেকে চুরি গেল কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ ৩০ হাজার টাকা। এত কিছু ঘটে গেলেও টুঁ শব্দটি পাননি দম্পতি। এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়া থানা এলাকার আনন্দনগর শীতলাতলায়। গৃহকর্তা ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। কেউ বা কারা ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। তারা বিন্দুমাত্র আওয়াজ না করে আলমারি খুলে সোনার গয়না এবং টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। আলমারি ভাঙার কোনও চিহ্ন মেলেনি। গৃহকর্তা কল্যাণ গায়েন সেচদপ্তরের কর্মী। তিনি বলেন, রাত ২টো অবধি জেগেছিলাম। তারপর ঘুমিয়ে পড়লে আর কোনও হুঁশ ছিল না। সাধারণত এমনটা হয় না। আমাদের ছোট্ট বাচ্চা আছে। মাঝেমধ্যেই রাতে সে কান্নাকাটি করলে উঠে আদর করে ঘুম পাড়াতে হয়। কিন্তু ওই রাতে সে কেঁদেছে কি না, তাও বুঝতে পারিনি। অঘোরে ঘুমিয়েছি। এটাই বড় রহস্য। সব মিলিয়ে দুষ্কৃতীরা ১২ ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছে। যার বাজারদর আনুমানিক আট লক্ষ টাকা। এছাড়াও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। দুষ্কৃতীরা অপারেশনের আগে ওই দম্পতির নাকে-মুখে কি কিছু স্প্রে করেছিল? যেকারণে তাঁরা কার্যত অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন!
তদন্তে নেমে এই প্রশ্নকেও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। লিলুয়া থানার পুলিস জানিয়েছে, বাড়ির ছাদে ইতিউতি পড়ে ছিল সোনার গয়না রাখার বাক্স ও ব্যাগ। এর থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, ছাদ দিয়েই এসেছে এবং একই পথে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে একাধিক ব্যক্তিকে।