কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সুত্রে খবর, মধুবনপুর কালীনগরের বাসিন্দা সুবালা মণ্ডল এবং তাঁর স্বামী নিরঞ্জন মণ্ডল যাদবপুরে ফুলের দোকানে কাজ করেন। তাঁদের পরিজনরা জানিয়েছেন, নিত্যদিনের মতোই রবিবার ভোরে নিরঞ্জন মণ্ডল ফুলের দোকানে গিয়েছিলেন। সুবালা মণ্ডল বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁদের দুই ছেলে ও চার মেয়ে। রাতে বাড়ি এসে স্বামী দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ। অনেকবার ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কেউ দরজা খোলেননি। সেই সময় জানালা দিয়ে তিনি উঁকি মেরে দেখেন, স্ত্রীয়ের ঝুলন্ত দেহ। এরপরই তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। যা শুনে পড়শিরা ছুটে আসেন এবং দরজা ভাঙে। খবর যায় পুলিসের কাছে। পুলিস জানিয়েছে, দম্পতির ছোট ছেলে জগবন্ধু মণ্ডল চার বছর আগে মারা গিয়েছিল। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতেন ওই গৃহবধূ। যার জেরেই ওই গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের প্রাথমিক মত।
অন্যদিকে, নিখোঁজ বধূর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে সোনারপুরের জাফরপুরে। পুলিস জানিয়েছে, নিখোঁজ বধূর নাম আরতি মণ্ডল (৫৫)। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূ ১০দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এদিন সকালে তাঁরই বাড়ির সামনে একটি ধান খেতের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। ঘটনা নিয়ে মৃতের বাপের বাড়ির পরিজনদের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। যদিও তাঁরা কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। পুলিস জানিয়েছে, ওই বধূর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্থানীয় মানুষ ও পুলিস সূত্রে খবর, আরতিদেবী বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোনারপুর থানায় গত ৭ নভেম্বর অভিযোগ করেন। নিখোঁজ অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিস ওই বধূর সন্ধানে তদন্ত শুরু করে। এদিন তাঁর দেহ পাওয়া যায়। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা শুরু করেছে পুলিস। তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে।