আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘রেলের ছাপাখানা বন্ধ হয়ে গেলেও কোনও কর্মীকেই কর্মহীন হয়ে পড়তে হবে না। তাঁদের প্রত্যেককে আমরা রেলের অন্যান্য সেক্টরে বদলি করে দেব।’ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে পীযূষ গোয়েল বলেন, ‘যেখানে সারা দুনিয়া আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে, সেখানে কিছু মানুষ, কিছু রাজনৈতিক দল, কিছু দলের জোট সেই ইতিহাসেই আঁকড়ে থাকতে চাইছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক। গোটা দুনিয়া ডিজিটাইজেশনের দিকে এগচ্ছে। গোটা দুনিয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে আঁকড়ে থাকতে চাইছে। রেলের এইসব ছাপাখানা অতীতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল মূলত টিকিট ছাপানোর উদ্দেশ্যে।’ রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই অনলাইনে রেল টিকিট কাটছেন। প্রায় সকলেই আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে চাইছেন। যার ফলে ছাপাখানার ব্যবহার ক্রমশ কমছে এবং এর ফলে রেলকে আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে টিকিট ছাপার খরচ টিকিটের দামের থেকেও বেশি হয়ে যাচ্ছে।’ এদিন লোকসভায় পীযূষ গোয়েল অভিযোগ করেছেন, কিছু মানুষ চাইছেন যাতে, আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে রেলকে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি করতে হয়।
জানা যাচ্ছে, পাঁচটি নয়, ইতিমধ্যেই ছ’টি ছাপাখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। যার মধ্যে তিনটিই পশ্চিমবঙ্গের। রেলের হাওড়া, কার্শিয়াং, খড়্গপুর ছাপাখান। এছাড়াও রয়েছে রেলের গোরক্ষপুর, আজমের এবং মহালক্ষ্মী ছাপাখানা। এ ব্যাপারে আজ সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেছেন, ‘রেলের ছাপাখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আদতে একটি ধ্বংসাত্মক নীতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এর ভয়ানক প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়। তাছাড়া অনেক কর্মী প্রায় অবসরগ্রহণের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এইসময় অন্য দপ্তরে রেল কিছুতেই তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাবে না। তাছাড়া যে কর্মীরা ছাপাখানার কাজে দক্ষ, তাঁরা কীভাবে রেলের অন্য দপ্তর সামলানোর কাজ করবেন?’
আজ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে রায়বেরিলিতে রেলের ‘মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরি’ (এমসিএফ) প্রসঙ্গেও কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। গতকালই লোকসভার জিরো আওয়ারে সোনিয়া গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, রায়বেরিলির রেল কোচ ফ্যাক্টরিকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দিয়ে আদতে এমসিএফকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে রেলমন্ত্রক। আজ এক প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রায়বেরিলির মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরি একটিও রেল কোচ উৎপাদন করতে পারেনি। কিন্তু শুধুমাত্র গত বছরই এই কারখানা ১ হাজার ৪২২টি কোচ উৎপাদন করেছে। যেখানে সীমারেখাই থাকে বছরে ১ হাজারটি কোচ তৈরির। মোদি সরকার এভাবে কাজ করে অভ্যস্ত।’