পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
যুদ্ধ জিততে প্রয়োজন দক্ষ সৈনিকের সঙ্গে নিখুঁত পরিকল্পনাও। আন্তোনিও লোপেজ হাবাস পোড়খাওয়া সেনাপতি। রক্ষণ পোক্ত রাখতে স্প্যানিশ কোচের জুড়ি নেই। কিন্তু কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ভঙ্গুর ডিফেন্সই কাল হল। বিশেষ করে শুভাশিস বসু আর হেক্টর ইউস্তেকে দেখে খুবই হতাশ হয়েছি। লেফট ব্যাক শুভাশিস সেরা সময় পেরিয়ে এসেছে। ওভারল্যাপে উঠলে ঠিক সময়ে নামতে ব্যর্থ। টানা ম্যাচ খেলে ক্লান্ত। স্টপার হেক্টরও শ্লথ। অন্যদিকে রয় কৃষ্ণা বুদ্ধিমান স্ট্রাইকার। চোরা গতি ব্যবহার করে ফসল তুলে নিল। মোক্ষম সময়ে ক্ষমার অযোগ্য ভুল করেছে ইউস্তে। অনেক আগেই বল ক্লিয়ার করা উচিত ছিল।
লোবেরার দলের ফুসফুস আহমেদ জাহু। মরক্কান ফুটবলার টাফ ট্যাকলার। ৩০-৪০ গজের লম্বা বল বাড়াতে চোস্ত। তার সোয়ার্ভিং কর্নার থেকেই ওড়িশাকে সমতায় ফেরায় ডেলগাডো। আমার প্রশ্ন, জাহুকে কেন ফ্রি খেলতে দিলেন হাবাস? সুপার কাপ ফাইনালে ছোটখাট চেহারার শৌভিককে দিয়ে জাহুকে ম্যান মার্কিং করান কুয়াদ্রাত। বড় চেহারার জাহু ছন্দে না থাকায় গোটা দলের তাল কেটে যায়। অভিষেক সূর্যবংশী বা অনিরুদ্ধ থাপা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এক্ষেত্রে জনি কাউকোর কাছ থেকে অনেক বেশি দায়বদ্ধতা আশা করেছিলাম। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে জনির পরিচিত ঝাঁঝ অদৃশ্য। যুবভারতীতে জাহুকে অরক্ষিত রাখার ভুল করলে সর্বনাশ। লাল কার্ড দেখায় দ্বিতীয় লেগের সেমি-ফাইনালে সাদিকুকে পাবে না মোহন বাগান। এক্ষত্রে প্রথম এগারোয় ছটফটে কিয়ানকে রাখা উচিত। ‘ফুলবাবু’ কামিংসকে নামানো হোক দ্বিতীয়ার্ধে।
হাবাস ব্রিগেডের ব্যান্ডমাস্টার দিমিত্রি পেত্রাতোস। বল না পেয়ে মাঝেমধ্যেই অনেকটা নীচে নেমে আসছে এই অজি ফুটবলার। ওড়িশার দুর্গ ভাঙতে হলে দিমিকে প্রয়োজন। মিস্টার হাবাস, টপ বক্সের আশেপাশেই দিমিকে রাখুন প্লিজ। এই ম্যাচে দ্রুত লক্ষ্যভেদ খুবই জরুরি। বাকিটা বুঝে নেওয়ার জন্য যুবভারতীর দর্শকরা তো রয়েইছেন।