পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
কলিঙ্গ ‘যুদ্ধ’ হেরে বিধ্বস্ত গোটা মোহন বাগান দল। মঙ্গলবার স্টেডিয়াম ছাড়ার মুহূর্তে তাঁদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে যা স্পষ্ট ফুটে উঠছিল। প্রথম লেগে হেরে ফাইনালের পথ কঠিন করল হাবাস-ব্রিগেড। সেই সঙ্গে কিছুটা হলেও ধূসর হল আইএসএলে দ্বিমুকুট (লিগ-শিল্ড ও ট্রফি) জয়ের স্বপ্ন। উল্টোদিকে চলতি মরশুমে আইএসএলে ঘরের মাঠে অপরাজিত থেকে খেতাবি লড়াইয়ের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল ওড়িশা এফসি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই প্রতিপক্ষ ডাগ-আউটের দিকে এগিয়ে গেলেন রয় কৃষ্ণা। একে একে জড়িয়ে ধরলেন জনি কাউকো, শুভাশিস বসুদের। আর স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে দেখে এগিয়ে গেলেন তিনি। হারের রাতেও প্রাক্তন ছাত্রের পারফরম্যান্স মনে ধরেছে বাগান কোচের। স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন কৃষ্ণা। ২০২০ সালে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির আইএসএল ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। তবে ২০১২-২২ মরশুমের মাঝপথে হাবাস দল ছাড়তেই বিদায়ঘণ্টা বাজে কৃষ্ণারও। একরাশ ক্ষোভের মধ্যেই বেঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে চাপান তিনি। তারপর উল্টোদিকে মোহন বাগানকে পেয়েই জ্বলে উঠেছেন কৃষ্ণা।
ওড়িশার কোচ লোবেরা অবশ্য এক গোলের ব্যবধানেও খুশি। বললেন, ‘ঘরের মাঠে জয় সবসময় অ্যাডভান্টেজ। তবে ফিরতি পর্বে সেটা ভুলে আমাদের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। চলতি মরশুমে কলকাতায় আগের দু’টি ম্যাচেই দল ভালো পারফর্ম করেছে। আশা করছি, এবারও সেই ছন্দ ধরে রেখে হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারব।’ একই বার্তা শোনা গেল কোচ হাবাসের গলাতেও।
অ্যাওয়ে ম্যাচে লিড নিয়েও জিততে না পারায় হতাশ জনি কাউকো। বললেন, ‘ঘরের মাঠে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আশা করছি, সমর্থকদের উপস্থিতিতে ম্যাচ জিতব।’ উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরের বিমানেই ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফেরেন দিমিত্রিরা। বৃহস্পতিবার থেকেই দল নিয়ে ফিরতি পর্বের লড়াইয়ে প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন হাবাস।