কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
গ্লোবাল ক্যান্সার ট্রাস্টের ফাউন্ডার মেম্বার ডাঃ বিকাশ আগরওয়াল রবিবার বললেন,‘গবেষণা বলছে, মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ‘স্টেজ ওয়ানে’ ধরা পড়লে সেরে যায়। এই রোগ রুখতে মহিলাদের আরও সচেতন হতে হবে। ইদানীং দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা গুণোত্তর প্রগতিতে বাড়ছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে গ্নেন ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন এই বিষয়ে দারুণ কাজ করেছে। ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এই রোগে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে ম্যাকগ্রার সংস্থাটি। ঘরের মাঠে জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়া প্রথম যে টেস্টটি খেলে তার তৃতীয় দিন ‘পিঙ্ক ডে’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। তৃতীয় দিনে গোলাপি পোশাক পরে খেলা দেখতে যাওয়াটা ওখানে এখন রীতি। ভারতে প্রথম গোলাপি বলে টেস্ট হচ্ছে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা ইডেন টেস্টের মতো বড় মঞ্চকেই বেছে নিয়েছি। সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ কথাবার্তা হয়েছে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমরা প্রথম দিন থেকেই গোলাপি কাগজের টুপি বিলি করব। মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট পরামর্শ যাতে লেখা থাকবে। এর মাধ্যমে মহিলারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন, তিনি এই ভয়াবহ রোগটির সম্মুখীন হতে পারেন কিনা? সচেতনতা বৃদ্ধি হলেই একমাত্র এই রোগে আক্রান্ত মহিলার সংখ্যা কমতে পারে। তাই ম্যাচের তৃতীয় দিনের ব্রেকে আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সারজয়ী ২২ জন মহিলাকে নিয়ে ইডেনে নামব। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি অনুমতি দিলে তারা মাঠের একধারে খেলবেন ‘প্রতীকি’ ক্রিকেট। এই দলে উচ্চবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ থেকে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের ক্ষেতমজুর সকল শ্রেণির মহিলাই থাকবেন। চেষ্টা চলছে ক্যান্সারজয়ী এক মহিলা সেলিব্রিটিকে নিয়ে আসার।’
সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়া জানান,‘এটি একটি মহৎ প্রচেষ্টা। প্রস্তাব পাওয়ার পরেই আমি বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে আলোচনা করেছি। উনি সবুজ সঙ্কেত দিতেই গ্লোবাল ক্যান্সার ট্রাস্টকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। অস্ট্রেলিয়া এই ব্যাপারে পথ প্রদর্শক। এমন একটি সামাজিক আন্দোলনের প্রচার এশিয়ার মধ্যে ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হওয়ার জন্য আমরা গর্বিত।’