বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হাঁসখালি ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মোট ১৫টি পঞ্চায়েত নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক রয়েছেন বিজেপির। গত বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণগঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজেপি প্রার্থীর কাছে ২১ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হতে হয়। তবে তার মধ্যে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ৬ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের হার হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই হার থেকে সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মকাণ্ডের সুফল এই ব্লকের প্রতিটি পরিবার কিছু না কিছু পেয়েছে। তথ্যভিজ্ঞ মহলের মতে, প্রান্তিক ও নিম্নবর্গীয় মানুষের জন্য মমতা যে সব কাজ করেছেন, তাতে সকলেই খুশি। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব দলের বিভিন্ন কর্মী বৈঠক থেকে প্রচারে বেরিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্প নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আশা করা যাচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই এবার ভোটের ফল উল্টে দেবে।
প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মহিলা প্রধানদের নিজস্ব আয়ের সহায়তা প্রদানের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার সাধারণ শ্রেণির পরিবারগুলিকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা প্রদানের মাধ্যমে প্রকল্প শুরু করেন। একইসঙ্গে এসসি, এসটি পরিবারগুলিকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দিতে শুরু করেন। কিছুদিন আগে ২০২৪ সালে রাজ্য বাজেটে এবার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়। যার ফলে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। জনজাতি মহিলাদের জন্য ভাতা বাড়িয়ে করা হল ১২০০ টাকা। এই প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মহিলারা। প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতের ১ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ভোটারের কাছে এই নিয়ে পৌঁছচ্ছেন। তবে এর মধ্যে থাকা মহিলা ভোটাররা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়ে খুব খুশি। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে মহিলা ভোটার আছেন ৬০ হাজার ৪৬৭ জন। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার পরই কৃষ্ণগঞ্জে তৃণমূল নেতৃত্ব উঠে পড়ে নেমেছে। গ্রামে গঞ্জে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছে। কীভাবে প্রচার করা হবে, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
প্রচারের মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান উপভোক্তারা। এ প্রসঙ্গে উপভোক্তা মাজদিয়ার সরস্বতী বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছি। এই টাকা পেয়ে খুব কাজে লাগে। সংসারের কাজ, সন্তানদের পড়াশুনার জন্যও খুব প্রয়োজন এই টাকার। এর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অবশ্যই প্রণাম জানাই’। আরেক উপভোক্তা কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মুক্তি দাস বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোয় আমরা আরও উপকৃত হয়েছি। সংসারের বিভিন্ন কেনাকাটা থেকে ওষুধ ইত্যাদি কিনতে পারছি। মমতা দিদিকে ধন্যবাদ ও প্রণাম জানাব।’
এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘মহিলা ও আমরা যৌথভাবে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচার চালাচ্ছি। এই জনমুখী প্রকল্পের প্রচার করতে বেরিয়ে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মহিলাদের সংসার থেকে হাত খরচা সবটাই হচ্ছে।’