গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত শনিবার সামশেরগঞ্জের নিমতিতা ধুশরিপাড়া কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাতে সুষম আহার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। প্রতিদিনই পাতে আলু ও সয়াবিনের তরকারি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। এনিয়ে প্রশ্ন করতেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ হালদারের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বচসা বাধে। মিড ডে মিলে চুরি হচ্ছে বলে ওই শিক্ষিকা দাবি করেন। তখন জুতো খুলে ওই শিক্ষিকার দিকে তেড়ে যান তিনি। তেড়ে যাওয়ার সেই ভিডিও মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন ওই শিক্ষিকা। অন্য সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষককে ক্ষান্ত করেন। সহকারী শিক্ষিকা মার্গারেট হাঁসদা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুলে মিড ডে মিলে ব্যাপক দুর্নীতি করছেন প্রধান শিক্ষক। কম ছাত্র এলেও বেশি ছাত্র দেখানো হচ্ছে। মেনু চার্ট অনুযায়ী মিড ডে মিলের সামগ্রী না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতেই তাঁর ওপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। আমাকে হুমকি, এমনকী জুতো তুলেও মারতে আসেন। বিষয়টি আমি শিক্ষাদপ্তরকে জানিয়েছি। নিমতিতা গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য তুলাপতি হালদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শুনেছি। প্রধান শিক্ষকও ছুটিতে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ হালদার ফোনে বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে জেলার বাইরে রয়েছি। আমি মিথ্যা ও অন্যায় বরদাস্ত করব না। আমার অন্যায় হলে আমি তা মাথা পেতে মেনে নেব।