বিদ্যুৎকান্তি বর্মন, ফালাকাটা: ফালাকাটায় কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে মৃতদেহ নিয়ে যেতে হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের মর্গে।  ফালাকাটা থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। অন্যদিকে, বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ আলিপুরদুয়ার নিয়ে যেতে হয়। বীরপাড়া থেকে আলিপুরদুয়ারের দূরত্ব ৬০ কিমি। এত দূরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যেতে নানা ধকল সহ্য করতে হয় মৃতের পরিবারকে। বেগ পেতে হয় পুলিসকেও। এই অবস্থায় জেলার মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিস মর্গ তৈরির দাবি উঠেছে। ফালাকাটা ও বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের বাসিন্দাদের এতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই ফালাকাটায় পুলিস মর্গ হলে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক এবং মাথাভাঙা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। তাই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিস মর্গ তৈরি দাবি জোরালো হচ্ছে। 
ফালাকাটা বা বীরপাড়ায় কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে সেই দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। এজন্য মৃতদেহ নিয়ে পরিবারের লোকজনকে আলিপুরদুয়ার বা কোচবিহারে যেতে হয়। পরিবারের লোকের সঙ্গে অনেক সময় একজন কনস্টেবলও থাকেন। জেলার এই দুই এলাকা থেকে আলিপুরদুয়ার বা কোচবিহারে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করিয়ে ফের বাড়ি ফিরতে হয়। এই যাতায়াত যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই কষ্টসাধ্য। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ফালাকাটার বাসিন্দারা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি পুলিস মর্গ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছে মৃতের পরিবারগুলি। কিন্তু এত দিনেও ওই দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। 
ফালাকাটা থানার এক পুলিস কর্মী বলেন, এলাকায় মাসে অন্তত ২০টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়। মৃতের পরিবারের লোকজনকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে পরিবারগুলির অর্থ এবং সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দ্রুত পুলিস মর্গ তৈরি করা দরকার। অন্যদিকে, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার শুভাশিস শী বলেন, মর্গ হলে একজন ফরেন্সিক চিকিৎসক রাখতে হয়। যা আমাদের এখানে নেই। তাছাড়া মর্গ তৈরির বিষয়টি স্বাস্থ্যভবন দেখে। তবে আমাদের হাসপাতালে মৃতদেহ সংরক্ষণ করার মতো ছ’টি ফ্রিজ আছে।