গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দল বদলের প্রায় এক মাস পার করে বুধবার বিকেলে রায়গঞ্জে ফেরেন সৌমেন। বিকেল ৩টে নাগাদ তিনি সোজা চলে যান রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজায় দলীয় প্রার্থী কার্তিক পালের প্রচারে। সেখানে সৌমেন বলেন, আমি যেদিন তৃণমূল যোগ দিয়েছিলাম, তার আগে দলে কোনও দুর্নীতি ছিল না। আমার জীবনের একটা অংশ খুব দুঃখের, লজ্জার। যাঁর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম, তিনি আজ জেলে। তাই প্রায়শ্চিত্ত করতে এখানে এসেছি।
বিকেল চারটে নাগাদ জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে দেখা করার জন্য জেলা পার্টি অফিসে আসেন সৌমেন। পার্টি অফিসের বাইরে তখন জেলা সভাপতির গাড়ি দাঁড়িয়ে। অথচ জেলা সভাপতিকে দেখা যায়নি। পার্টি অফিসের দরজাও বন্ধ ছিল। বাইরের উঠোনে পাতা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর বেরিয়ে যান সৌমেন। জেলা সভাপতি কি তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন না? বিজেপি বিধায়ক বলেন, জেলা সভাপতি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। তাছাড়া কালিয়াগঞ্জে আমার একটা বৈঠক ছিল বলে সেখানে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের যাব তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, আমি ভোট প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। পার্টি অফিসে ফিরে দেখি উনি বেরিয়ে গিয়েছেন। আবার এদিন সন্ধ্যায় কালিয়াগঞ্জ শহরে পা রাখতেই দলীয় কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সৌমেনকে। কালিয়াগঞ্জের ডাকবাংলো রোডে সৌমেনকে স্বাগত জানাতে নির্বাচলী কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে তাঁর সংবর্ধনা চলাকালীন আচমকাই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কয়েকজন কর্মী। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে আসরে নামেন বিজেপি নেতারা। সৌমেনের ঘর ওয়াপসি নিয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে যে ক্ষোভ চাপা ছিল, সেটাই এদিন সামনে এসেছে। নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় বিজেপির চাপ বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।