নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ মঙ্গলবার রাজ্যপালের আইনজীবী জয়দীপ মজুমদারকে বলেন, উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে? আপনি বলছেন চারজন উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। রাজ্য বলছে দু’জন। এমনটা কেন হচ্ছে? আচার্যর সঙ্গে মঙ্গলবারই কলকাতায় যোগাযোগ করে নিয়োগ মামলার জটিলতা কাটানোর উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত।
রাজ্যপালের আইনজীবীকে বিচারপতিরা বলেন, আচার্যকে বলুন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত নাম ঠিক করতে বলেছি। আগের ছ’জন এবং এখন আরও ১৫ জন, মোট ২১ জনের নাম শুক্রবারের মধ্যে ঠিক করে ফেলুন। এবং আগামী শুক্রবার ১৭ মে শীর্ষ আদালতকে জানাতেও হবে কী অগ্রগতি হল। পরোক্ষে আচার্যর সমালোচনাও করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। বলেন, ভুলে যাবেন না যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আপনার-আমার কারও নয়, জনগণের। পাবলিক ইনস্টিটিউশনস। তাই যাবতীয় বিতর্ক সরিয়ে দ্রুত উপার্চার্য নিয়োগ করতেই হবে।
রাজ্যের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত আদালতে অভিযোগের সুরে বলেন, এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আচার্য যে নিয়োগ করেছেন, তা অসম্পূর্ণ। বলা হয়েছে, অথরাইজড টু ফাংশান। অর্থাৎ কাজ করার অধিকার দেওয়া হল। স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের কথা কেন বলা হচ্ছে না? তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা অস্থায়ী হিসেবে কাজ করছেন, তাঁদের অধিকাংশরই অবসরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। তাই এখনই নিয়োগ না করলেই নয়।
পাল্টা আচার্যর আইনজীবী জয়দীপ মজুমদার বলেন, কিন্তু যাঁরা এখনও কাজ করছেন, রাজ্য সরকার তো তাঁদের অনেকের বেতনই বন্ধ করে দিয়েছে। এটাই বা কেন? শুনে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বেতন বন্ধের অভিযোগের বিষয়টি পরেরদিন শুনানিতে দেখে নেব। আগে আচার্য নিজের কাজটি করুন। শুক্রবারের মধ্যে ২১ জন উপাচার্যর নাম ঠিক করে ফেলুন।