নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধের জেরে ২০১৯ সালে এন্টালির বাসিন্দা স্বপ্নাদেবী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। সেখানে তিনি ছোটখাট হাতের কাজ করে দিন গুজরান করছিলেন। ওই বছরের জুলাই মাসে তিনি শিয়ালদহ কোর্টে খোরপোশের দাবিতে মামলা করেন। এই মামলায় আদালত প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু দেড় বছরের বেশি সময় স্বামী গোপাল সামন্ত আদালতের বেঁধে দেওয়ার খোরপোশের টাকা দিতে পারছিলেন না। এরপর স্ত্রী ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। এই মামলার শুনানির দিন ছিল মঙ্গলবার। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, দু’জনেরই বয়স হয়েছে। অভিমান না করে বরং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে আপনাদেরই ভালো হবে। বাকি জীবনটা আনন্দে কাটান। বিচারকের এহেন বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন বৃদ্ধা। তিনি বিচারককে বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। এই মামলা চালানোর ইচ্ছা আমার নেই। আমি কথা দিচ্ছি, বাড়িতে আলোচনা করে এই মামলা তুলে নেব। বিচারক মন্তব্য করেন, আপনারা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি ঠিক করে নিন। যাতে কোনও সমস্যা না হয়। আপনারা ভালো থাকলে আপনাদের দুই পরিবারই ভালো থাকবে। আদালতের এই মানবিক বক্তব্যের পর ওই দম্পতি অভিমান সরিয়ে কোর্ট চত্বরে একত্রে বসে কিছুটা সময় কাটান। কথাও বলেন। আইনজীবীদের একাংশের কথায়, কোর্টের হস্তক্ষেপে একটা ভাঙা সংসার জোড়া লাগছে, এটা কী কম আনন্দের।