Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। দিনের টুকটাক কাজ, সকালের ওট্‌স, পাকা পেঁপে, অ্যামন্ড বাদাম সহযোগে প্রাতরাশ সেরে জপে বসবেন। রান্নাঘরে গিয়ে রাইস- কুকারে হাফ-কাপ চাল ধুয়ে, ওপরে দুটো উচ্ছে ও একটা গাজর সিদ্ধ দিয়ে সুইচ অন করে চলে এলেন। মাছের ঝোল করাই আছে দু’দিনের মতন। ইতিমধ্যেই চলভাষটি বেজে উঠল। নম্বরটি বিদেশের এবং পরিচিত। পুত্র মৈনাকের।   
—কেমন আছ মা? 
—ভালো, তুই, তোরা কেমন, বাবুসোনা? অফিস থেকে ফিরলি?
—হ্যাঁ, মা, আজ একটু দেরিই হল। 
—শরীরটরির ঠিক তো, বাবা?
—একদম পারফেক্ট। নো চিন্তা মম‌।
—কবে আসছিস বাবা তোরা? একা-একা যে আর পারছি না।
—এই তো, আর মাস তিনেক অপেক্ষা কর। জাপানে একটা বড় প্রজেক্ট আছে। ফেরার পথে দিন দশ-বারো তোমার সঙ্গে কাটিয়ে ফিরব।
—ওহ, ঠিক আছে।  
—তোমার ওষুধ সব ঠিকঠাক খাচ্ছ তো? প্রেশার ও সুগার নিয়মিত চেক-আপ হচ্ছে  তো?
—হ্যাঁ, চিন্তা করিস না, যমুনা নিয়মিত সবটুকু ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। 
—যমুনাটি কে মা?
—একটি বছর ত্রিশের মেয়ে। কাছেই থাকে। খুবই ভালো মেয়ে। আমার দরকারি সব কিছু করে দেয়।
—তুমি কি বহুদিন চেনো? অনেস্ট? 
—বেশি দিন নয়। পরিচিত প্রতিবেশীদের অনেকের কাছ থেকে ওর কথা জেনেছি। সবাই তো বিশ্বাস করে। পরোপকারী, বিশেষত সিনিয়র সিটিজেনদের সাহায্য করে। ইংরেজিতেও দক্ষ মোটামুটি। ব্যাঙ্কের কাজ বা যা কিছুই বলি, হাসি মুখে করে দেয়। চাহিদাও সামান্যই। 
—না মা, কাজটা ঠিক হচ্ছে না। আমাকে জানাওনি কেন? এসব মেয়েরা প্রথমে বিশ্বাসযোগ্যতা আদায় করে, পরে ছুরি বসায়। টিভিতে কাগজে তাহলে কী পড়, কী দেখো মা?
—সে তোকে অত দূরে বসে না ভাবলেও চলবে বাবু। আমি সামলে নেব। আমি মানুষ চিনি। বয়স তো কম নয়। অভিজ্ঞতাও প্রচুর। স্বার্থহীন আর স্বার্থপরকে ভালোই উপলব্ধি করেছি। বিশেষত তোর বাবার অবর্তমানে।
—আচ্ছা, আমি গিয়ে পুরো ‘সেট-আপ’ পাল্টে ফেলব।
নিরুত্তর মন্দিরার একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ল। ও প্রান্তের মৈনাকও ‘কল ইউ লেটার’ বলে ফোন কেটে দিল। ফোনে ছেড়ে স্বগোতক্তিতে মন্দিরা বললেন, অন্য ‘সেট-আপ’ তো কোনও-না-কোনও বৃদ্ধাশ্রম। যতই বল, আমি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে নড়ছি না।
দুই
সাড়ে আটটায় যমুনা কলিং বেল বাজাল। বেশ সুন্দর সেজেছে আজ। হলুদ শাড়ির সঙ্গে লাল ঘটি হাতা ব্লাউজ তলায় লেস দেওয়া। চোখে কাজল, চুলটা আলগা খোপা, তাতে আবার দুটো কাঁঠালচাঁপা ফুল। দারুণ লাগছে। 
একগাল হাসি নিয়ে বলে, ‘মাসিমা’।  মন্দিরা দেরি করেন না। একটা বেতের শৌখিন ব্যাগ এগিয়ে দেন, সঙ্গে ফর্দ ও টাকাপয়সা। কিছু সময়ের ব্যবধানে যমুনা এসে ‘ট্যু-দ্য-পাই’ হিসেব দিয়ে সবটুকু বুঝিয়ে দিয়ে যায়। এমনকী মাছ-মাংস ধুয়ে ফ্রিজে রাখা এবং আনাজপাতি যথাস্থানে রেখে ব্যাগটাও জায়গা  মতন টাঙিয়ে রেখে যায়। প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক, মিউনিসিপ্যালিটি, কী ওষুধের দোকানেও ছোটে। অনেক সময় বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। বিনিময়ে সামান্যই নেয়, কাজ বুঝে। 
আসলে বাপ-মা মরা যমুনার এখন ঠিকানা দাদা-বউদির হোটেল। পাস গ্র্যাজুয়েট। অল্প কম্পিউটার জানে। স্কুলে থাকতে এক সময় তবলাও শিখেছিল, বেশ নামও করেছিল। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে, সেসব শখ গিয়েছে। এখন টুকটাক টিউশন আর এই স্বেচ্ছায় প্রতিবেশী বয়স্কদের উপকার করা। বয়স্ক মানুষদের কাজ করতে ওর ভালোই লাগে। সঙ্গে যেটুকু পায়, তাতে হাত-খরচা চালিয়েও সংসারে কিছু দিতে পারে। গতবার তো একটা বড় গাড়িতে আশপাশের একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পুজোয় ঠাকুরও দেখিয়ে এনেছে। নির্ঝঞ্ঝাট বউদির এসব নিয়ে কোনও বিরোধ নেই ননদের সঙ্গে।   
এই তো সেদিন রাত এগারোটায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন মন্দিরা। অন্ধকারে ভারী শরীর একা একা হামাগুড়ি দিয়ে কোনওমতে মোবাইল নিয়ে যমুনাকে ফোন করেছিলেন, আধঘণ্টা হয়নি, যমুনা পাশের ফ্ল্যাটের কাকিমার থেকে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে দরজা খুলে ডাক্তারসমেত হাজির! প্রেশার মেপে, পাল্‌স পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন দিলেন ডাঃ মুখার্জি। সেই রাতেই যমুনা ওষুধও এনেছিল স্কুটি চেপে। সারারাত বসেছিল মন্দিরার পায়ের কাছে।  
স্বামী বিপ্লব রায়ের অকস্মাৎ চলে যাবার পরই দিন কুড়ির মাথায় মৈনাক বিদেশে চলে যায়। তার আগেই কলকাতার ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন বিপ্লব। মৈনাক যাওয়ার পর, চারদিক খোলা, হাওয়া-বাতাসপূর্ণ সুন্দর চারতলা বাড়ির ফ্ল্যাটটি সুন্দর সাজিয়েছিলেন মন্দিরা। মাসে এক-আধবার ফোন করে মৈনাক। তখন পৃথিবীটা একটু বদল হয়। ফের শুনশান একাকিত্ব। দোতলার কোনাকুনি ফ্ল্যাটে থাকেন পৃথ্বীশ সেন। বড় পোস্টে চাকরি করতেন। মিসেস সেনের মাথার গোলমাল। থাকেন বারুইপুরের অ্যাসাইলামে। তাঁর ডাক্তার ছেলেও ইউরোপে বহু বছর। তিন মাসে মিনিট পাঁচেকের ফোনে কর্তব্য সমাপন। মাঝে মাঝে বারান্দায় এলে মন্দিরার সঙ্গে কথাবার্তা চলে। দু’একবার চা খেয়েও গিয়েছেন। তিনিও বলেন, ‘যমুনাই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে, মিসেস রায়। বড্ড ভালো মেয়ে। নিজের ছেলে খোঁজ নেয় না, আর এই অল্প ক’দিনে যমুনা কত আপনার হয়ে উঠেছে, যেন কতদিনের চেনা!’    
তিন
এই যমুনাকে নিয়েই সমস্যা শুরু মন্দিরার। মৈনাক কিছুতেই চাইছে না, যমুনা তাদের বাড়িতে আসুক। ক’দিন আগেই হঠাৎ মৈনাকের আচমকা ফোনে বিস্তর কথা কাটাকাটি। সে বলছে, ‘তুমি এ ধরনের মেয়েকে বিশ্বাস কোরো না। ওরা একটা টাইপ। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে লোকের উপকার করে। আসল ধান্দা অন্য। মিষ্টি কথায় টাকা-কড়ি, এমনকী বাড়ি-ঘর হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল!’ 
মন্দিরা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘তুই অত দূরে বসে ধান্দা বুঝে গেলি, বাবুসোনা! বাবা চলে যাওয়ার পর বিদেশের অফারে মাকে একা ফেলে চলে গেলি। বিয়ে করলি বিদেশিনী। মতামতের অপেক্ষায় রইলি না।... এখন ধান্দা বোঝাচ্ছিস কাকে?’
‘শোনো মা, এটা একটা নতুন চক্র। চাকরির বাজার মন্দা। বয়স্করাই এদের টার্গেট।... যাই হোক, বলে লাভ নেই। এবার আমিই একটা অল্টারনেটিভ ব্যবস্থা করব। দু’দিন পর আবার ফোন করছি।’
এই দু’দিন মন্দিরার চরম অস্বস্তিতে কাটল। ছেলের কথায় কিছুটা যুক্তি পান ঠিকই, তবে বিশ্বাস করতে মন চায় না। যমুনাকে তো সেভাবে কল্পনাতেও আনতে পারেন না। এইসব ছাইপাঁশ ভাবতে ভাবতে তিন দিনের মাথায় মৈনাকের দীর্ঘ ফোন। গলায় কেল্লাফতের খুশি। বলল, ‘মা, সব সলিউশন এখন তোমার আঙুলের ডগায়। তোমাকে যে আই-ফোন দিয়েছি, তার প্লে-স্টোর ওপেন করে তুমি এই অ্যাপটা ডাউনলোড করবে— লোনলি পেরেন্টেস সলিউশন ডট কম। তোমার নাম আর নম্বর রেজিস্টার করে দিয়েছি।... আহা, তুমি নিজে না পারলে, নীচের সেন সাহেবকে ডাকবে। এটার দারুণ রেটিং।... তোমার খাবার, বাজার, হপ্তায় জামাকাপড়, ঘরদোর পরিষ্কার, ডাক্তার-ওষুধ, হাসপাতাল, এমনকী কাছাকাছি বেড়ানোর ব্যবস্থা – সবকিছুই তোমার প্রেফারেন্স অনুযায়ী কাস্টমাইজ করবে। খালি বাটন প্রেস করবে আর ওরা যোগাযোগ করবে। আমার কাছেও অ্যালার্ট আসবে। আমি অনলাইনে পেমেন্ট করব। একটু চেষ্টা করে দেখ। জীবন এখন অনলাইন নির্ভর। তাছাড়া, আমি তো দু’মাসের মধ্যেই যাচ্ছি।’  
অনেকক্ষণ স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে বসে রইলেন মন্দিরা। গত তিনদিন যমুনা আসছে না, নতুন জুতো পরে ফোস্কা পড়েছে। কিন্তু ওর দায়িত্ববোধের তুলনা নেই। একটা পরিবর্ত মেয়েকে পাঠিয়েছিল সাহায্যের জন্য, কিন্তু মন্দিরা হাসি মুখে না বলেছেন। স্মার্ট ফোনটা ব্যবহার করছেন কিছুদিন, কিন্তু এর বহু ব্যবহার জানেন না। এককালে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সুচিত্রা মিত্রর কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছেন। রেডিওতে গাইতেন, মৈনাক  হওয়া অবধি চলেছে তাও। তারপর স্বামী-পুত্র আর অসুস্থ শাশুড়ির দেখভাল— একা হাতেই চালিয়ে গিয়েছেন। রান্নার হাত বরাবরই ভালো। অসাধারণ ক্যারামেল পুডিং বানাতেন। এখনও মাঝে মাঝে দু’এক পদ রাঁধতে শখ হয়, কিন্তু কার জন্য রাঁধবেন? এরমধ্যে একদিন নারকেল দিয়ে মোচার ঘণ্ট রেঁধে যমুনাকে চাখতে দিয়েছিলেন, মন্দিরাকে তো জড়িয়ে ধরেছিল। ‘মাসিমা তোমার রান্নায় তো বহু ঠাকুর-বাবুর্চি ফেল মারবে,’ উচ্ছ্বসিত যমুনা বলেছিল। কিন্তু একা এই অনলাইন জীবন-তরী কীভাবে বাইবেন, মন্দিরা জানেন না। সেন সাহেবকে ফোন করবেন কি না ভাবছেন, এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠল।
‘যমুনা! তুই!’ 
‘আরে, ভেতরে ঢুকতে তো দাও,’ বলে একটু খুঁড়িয়ে সে ঢোকে।
‘আসতেই হল। সেন-জেঠুর দু’দিন ধরে সর্দি-জ্বর। শয্যাশায়ী। ওর জন্য কিছু ওষুধ আর বাজার দিয়ে গেলাম।’ সহসা মন্দিরার দিকে তাকায় যমুনা। ‘আরে তোমার আবার কী হল, মাসিমা? কেমন চিন্তিত-চিন্তিত ভাব!’ মেয়েটা কি মন পড়তে পারে? এখানে পা দিয়েই বুঝে গেল তার চিন্তার কথা। কোনও অনলাইন অ্যাপে কি এমনটা হবে?... ভাবতে ভাবতে একটু কিন্তু-কিন্তু করে যমুনাকে সবটা বলে দিলেন। বলতে বলতে ভাবলেন, যমুনা যদি এতে অখুশি হয়, যদি আর না আসে! সত্যি এই ক’দিনে মেয়েটার মায়ায় বাঁধা পড়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথা শুনে যমুনার মুখটা হাসি আর উচ্ছ্বাসে ভরে উঠল। বলল, ‘বাহ! এটা তো মৈনাক দাদা দারুণ জিনিস পাঠিয়েছে। জানো মাসিমা, আজকাল আমার ভাইপোর স্কুলের মাইনে দেওয়ার জন্যও আলাদা অ্যাপ হয়েছে। আমি শিখে নিয়েছি। দাদার অফিস থেকে ফিরতে দেরি হয়, তাই আমিই ওই অ্যাপ মারফত টাকা পাঠাই। দেখি, এটা কেমন? বাহ, খাবার-দাবার, ওষুধ-টষুধ সব পাঠাবে। বাহ! তবে ভেব না, আমাকে ভাগিয়ে দেবে। মাঝে মাঝে আমি দেখে যাব, তোমার হাতের মোচার ঘণ্ট না অনলাইনের রান্না— কোনটা ভালো!’ বলতে বলতে সে প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করে ফেলেছে। তাঁকে ফোনের স্ক্রিনে দৃশ্যমান একটা রান্নাঘরের আইকন দেখিয়ে বলল, ‘এটা দিয়েই শুরু করি, তাহলে। যা বাজার করেছিলাম তাতে তো আজ অবধি চলে যাওয়ার কথা। ঠিক আছে, বেশ কিছুদিন আগে তুমি ইলিশ মাছের মুড়ো দিয়ে কচুশাকের ঘণ্ট খেতে চেয়েছিলে। তখন আমাদের বাজারে ওঠেনি। দেখি, কালকের জন্য ওটার এক প্লেট আর এক প্লেট ভাপা ইলিশ অর্ডার দিয়ে। তোমার কাছে পরে রিপোর্ট নেব।’  
চার
দু’দিন কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে মন্দিরা কিছুটা রপ্ত হয়েছেন। সেদিনের কচুশাক ছিল বেজায় ঝাল, আর স্বাদহীন, শক্ত ইলিশটা আসল না ‘চন্দনা’ বুঝতে পারেননি। মশলাপাতি আনিয়েছেন, কিন্তু যে ন্যূনতম পরিমাণ অনলাইনে পাওয়া যাবে, তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। এইসব করতে করতে জড়তা কেটে গেল তাঁর, ওই অ্যাপ ছাড়া ইউটিউবে রান্নার রেসিপি, গানের ক্লাস, পুরনো গানের ক্লিপ— এইসবও দেখতে লাগলেন, এবং ভাবতে লাগলেন, গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন। তারপর একসময় যমুনার নম্বরে ফোন করলেন। ‘হ্যাঁ রে, তুই তোর এক দাদার কথা বলেছিলি না, যে অনেকের জন্য ইউটিউব চ্যানেল বানিয়েছে। কাল দুপুরে ওকে একবার আনতে পারবি!’ 
এর মাস খানেক পরে আমেরিকার হিউস্টন শহরবাসী মৈনাক রায়ের ই-মেইল ঠিকানায় কলকাতা থেকে একটা মেইল এল। জীবনে প্রথমবার মা তাকে চিঠি লিখেছে। ‘প্রিয় বাবুসোনা, অনেক ভেবে দেখলাম, তুইই  ঠিক। জীবন এখন সত্যি অনলাইন। অ্যাপে আঙুল ছুঁইয়ে অনেক ম্যাজিকই সম্ভব। কিন্তু উষ্ণতা নেই, মন নেই, যত্ন নেই রে – এমনকী ‘মুখ’ও নেই। মনে আছে ছোটবেলায় পাড়ার মোড়ের হাত-কাটা ফুচকাওলা কী দারুণ চুরমুর মাখত। তোকে খুব ভালোবাসত। একবার দেশে গেলে ওর জায়গায় নতুন একজন এসেছিল। তুই কিছুতেই তার কাছে খাবি না। খালি বলছিলি, আমার ফুচকা-কাকু কবে আসবে? যত বোঝাই, একই তো ফুচকা, আলু আর তেঁতুল জল— খেয়েই দেখ না, তবু তোর অদম্য জেদ— আমার ফুচকা-কাকুর কাছেই খাব!... সেই তুই, আমার হাতে এ-কোন অশরীরী আলাদিনের চেরাগ তুলে দিলি, বাবা! তবে সময়ের সঙ্গে তো চলতেই হবে রে। তাই আমি যমুনার এক দাদা সুমনের সাহায্যে আমার নিজস্ব অনলাইন চ্যানেল খুলেছি— ‘মাসিমার সাঙ্গীতিক হেঁশেল’! গান আর রান্নার কম্বাইন্ড চ্যানেল। তুই তো জানিস রান্নায় আমার আগ্রহের কথা। সেই সঙ্গে মনে আছে নিশ্চয়ই আমার 
রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার কথা। সেই দুটোই একসঙ্গে মেলালাম। সেই নিয়েই আমার চ্যানেল। প্রথমে বিনামূল্যে 
যে কেউ চ্যানেল দেখতে সাবস্ক্রাইব করতে পারে। হপ্তা দুয়েক পরে, বিশ্বাস করবি না, যখন প্রায় হাজার তিনেক সাবস্ক্রাইবার হল, তখনই সুমনের পরামর্শে সপ্তাহে দু’দিন অনলাইন পেমেন্টভিত্তিক লাইভ ক্লাসের নোটিস দিলাম। ক্লাস পিছু একশো টাকা। গত দশ দিনে প্রায় তিনশোজন রেজিস্ট্রি করেছে! তুইই আমায় স্বাবলম্বী করলি, বাবা! গতকাল প্রথম ক্লাস ছিল। প্রচুর লাইক ও কমেন্ট এসেছে। গোড়ায় সুমন সবটা দেখছিল, এখন যমুনাই টেকনিক্যাল দিকটা সামলে নেবে। সঙ্গের অ্যাটাচমেন্টে একটা দেড় মিনিটের প্রোমো পাঠালাম। বউমাকে দেখাস। ও যদি শিখতে চায়, পয়সা লাগবে না। ওতো আমাদের কিছুই শিখল না! ভালো থাকিস। আশীর্বাদক —তোর মা।’
অঙ্কন: সোমনাথ পাল
28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
 নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা আসনের প্রার্থীদের প্রচার শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। তার প্রায় দেড় মাস পর দেখা যাচ্ছে, প্রচার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যার নিরিখে যাদবপুর লোকসভা অন্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:48:34 PM

আইপিএল: লখনউ ৭৯/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:44:24 PM