Bartaman Patrika
 

গানের আসরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন দাশু রায় 

বিধবা বিবাহ কিংবা বৈষ্ণবদের ভ্রষ্টাচারকে বিদ্ধ করলেন গানে। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

অকাবাঈয়ের দলে যে গান দাশরথী বাঁধতেন, তা খুব উচ্চমানের ছিল না। কেননা তার শ্রোতারা ছিলেন যথেষ্ট নিম্নরুচি সম্পন্ন। তাই দাশরথী রায় তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না। শুধু অকাবাঈকে ভালোবেসে তিনি পড়েছিলেন সেই দলে। অকাবাঈয়ের সংসর্গ কাটানোর জন্য তাঁর মামা অন্যত্র একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেন। মাসে তিন টাকা মাইনেতে তাঁর চাকরি জুটল অনন্তপুর কুঠুরিয়া গ্রামের নীলকুঠিতে। কিন্তু দাশু রায় সেখানে থাকতে পারলেন না। এক পিছুটান তাঁকে আবার টেনে নিয়ে এল অকার কাছে। বাড়িতে সেই খবর যেতেই সবাই ভেঙে পড়লেন। তাঁর বাবা তখনও জীবিত ছিলেন। তিনি অভিসম্পাত করে বললেন, সারা জীবনে তিনি আর ছেলের মুখ দেখবেন না।
অকাবাঈকে নিয়ে দাশরথী রায় চলে গেলেন রাজশাহীতে। একের পর এক পালার গান লিখে চললেন। কিন্তু বুঝতে পারছিলেন এ গান লেখার জন্য তিনি জন্মাননি। তিনি অনেক ভালো গান লিখতে পারেন। পণ্ডিত সমাজের কাছে আদরণীয় হয়ে উঠতে পারে, এমন গানও তিনি লিখতে পারেন। কিন্তু সে গান এখানে শুনবে কে! সেই গান তাঁর ভিতরে ভিতরে গুনগুনিয়ে ওঠে। কিন্তু শ্রোতারা সেই গান নেবেন না। আর একটা যে ধারা আছে, সেই গুণীজনের সমাজের কাছে আজ তিনি ব্রাত্য।
তাছাড়া আজকাল আসরে উঠলেই অন্য পালাকাররা তাঁর চরিত্রের স্খলন নিয়ে, তাঁর জাতিভ্রষ্ট হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আঁচড়ায়, কামড়ায়, রক্তাক্ত করে। গানের কথায়, সুরে তাঁকে বিদ্ধ করে। সেই খেউড় শুনে দর্শকরা আদিম উল্লাসে ফেটে পড়েন। যে আনন্দ নিয়ে তিনি পালার আসরে অবতীর্ণ হন, সেই আনন্দ নিয়ে আর পালা শেষে ফিরতে পারেন না। আসরের মধ্যে প্রতিপক্ষ তাঁকে গালমন্দ করে অস্থির করে তোলে। তাঁকে খোঁচা মেরে গান ধরেন, ‘উনি কুলের গরব করেন নিত্যি / শুনে জ্বলে যায় পিত্তি।’ দিনে দিনে সেই যন্ত্রণা অনিবার্য হয়ে উঠল। দাশু রায়ের সেই লাঞ্ছনা সহ্য করতে পারেন না অকাবাঈও। বললেন, তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে।
অবশেষে বিচ্ছেদ এল। অকাকে ছেড়ে চলে যেতে হল। অকা তাঁকে অনেক বড় দেখতে চান। আড়ালে চলে গেলেন অকাবাঈ। যাওয়ার সময় দাশরথীর পায়ের কাছে রেখে গেলেন তাঁর রুপোর অলঙ্কার। বললেন, ‘নতুন দল কর রায়। নতুন গানে মানুষকে মুগ্ধ কর।’
দাশরথী রায় চলে এলেন। এবার তিনি কী করবেন! কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে মনস্থির করে ফেললেন। তাঁকে কলকাতা যেতে হবে। সেখানে মানুষ ভালো গানের কদর করে। নিম্নরুচির পাঁচালি গানে এতদিন তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছিল। এবার জ্ঞানীগুণী মানুষের আসরে গান করতে হবে তাঁকে। মনটা যেন নতুন প্রতিজ্ঞায় নেচে উঠল। ১৮৩৬ সালে খুললেন নিজের পাঁচালি গানের দল। তখন তাঁর বয়স তিরিশ বছর। ধীরে ধীরে আসতে লাগল বায়না। নামও ছড়াতে লাগল। সেই সময় তিনি এক রাত্তির গাওনার জন্য পেতেন চার-পাঁচ টাকা। কয়েক বছরের মধ্যে তা অনেকটাই বেড়ে গেল। পরিবেশনার আঙ্গিক নিয়ে নতুন করে ভাবতে লাগলেন। কাহিনী সংগ্রহ করলেন মহাভারত, রামায়ণ, গীতা, হরিবংশ, বিষ্ণুপুরাণ, চৈতন্যচরিতামৃত থেকে। গান বাঁধলেন নতুন ভাষ্যে। পাশাপাশি পোশাকে চাকচিক্য আনলেন। পহেলা দর্শনধারী, এটা তিনি বিশ্বাস করতেন। কোথাও পালা হলে তিনি সেখানে পালকি করে যেতেন।
একবার পালা পরিবেশনের ডাক এল নবদ্বীপ থেকে। ১৮৩৯ সালে ডাক এল গান করার। খুব আনন্দ হয়েছিল তাঁর। এবার তিনি জ্ঞানীগুণীদের আসরে গান গাইবেন। কিন্তু সেখানকার বিদগ্ধজনেরা তাঁকে যে সম্মান দিয়ে গান গাইতে ডেকেছেন, তার মর্যাদা তাঁকে দিতেই হবে। সেখানকার পণ্ডিতসমাজকে খুশি করতে পারলে, তাঁর কলঙ্কের দাগ অনেকটাই কেটে যাবে। গানের বাঁধনদার বলে যে কুখ্যাতি একদিন তাঁকে অসম্মানিত করত, সেই রাহুর গ্রাসও কেটে যাবে। অতঃপর তিনি গান গাইতে যাওয়ার আগে ভালো করে মহড়া দিলেন।
সেদিন ছিল রাসপূর্ণিমার রাত। পৌরাণিক কাহিনীর পালাগানে নেমে এল ভক্তির সুরধারা। নবদ্বীপের পণ্ডিতরা আপ্লুত হলেন পালাগানে। তাঁর গান শুনে মুগ্ধ পণ্ডিতরা তাঁকে দিলেন প্রচুর দক্ষিণা, উপহার। সেই সঙ্গে পেলেন শ্রদ্ধা ও প্রীতি। মন ভরে গেল দাশরথীর। নিম্নরুচির গানের নোংরা পুষ্করিণী পেরিয়ে তিনি নাও ভাসালেন পুণ্যস্রোতা গঙ্গায়। তারপর থেকে প্রতি বছরই নবদ্বীপে গানের জন্য ডাক পেতেন। দাশরথী রায়কে অনুপ্রাণিত করল এই পণ্ডিত সঙ্গ। ভালো গান লিখতে হবে। অকাবাঈ বলেছিলেন, ‘ভালো গান লেখো রায়।’ আর পালার মধ্যে যখন মানুষ তাঁর গান শুনে হই হই করে ওঠেন, ‘সাধু সাধু’ বলেন, তখন অকাবাঈয়ের মুখটা মনে পড়ে দাশুর। মনে মনে বলেন, ‘এ সবই তোমার প্রাপ্য অকা।’
সেবার নবদ্বীপের আসরে গান গাইতে গিয়ে সেই গানটা ধরলেন দাশু। একদিন কিছুটা শুনিয়েছিলেন অকাকে। গানটা আবার নতুন করে বেঁধেছেন। ‘দোষ কারও নয় গো মা। / আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা। / ষড়রিপু হল কোদণ্ড স্বরূপ, পুণ্যক্ষেত্র মাঝে কাটিলাম কূপ..’ সে গান শুনে টোলের ছাত্ররা পণ্ডিতদের জিজ্ঞসা করলেন, ‘গুরুদেব, কোদণ্ড মানে তো ধনুক। ভুলবশত দাশরথী রায় তাঁর গানে এটিকে কোদাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন। উনি আসলে শব্দটির অর্থ জানেন না।’ সে কথা শুনে নবদ্বীপের টুলো পণ্ডিতরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসলেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, দাশরথী রায় যখন ব্যবহার করেছেন, তখন কোদণ্ড শব্দের আর একটি অর্থ কোদালই হোক। সেই অর্থেই পণ্ডিতরা এটিকে অভিধানে যুক্তও করলেন।
এত জনপ্রিয়তা, এত প্রাপ্তি। মন ভরে যাচ্ছে দাশরথীর। আরও গান লিখতে হবে তাঁকে। পুরাণের পাশাপাশি সমসাময়িক সমাজকে তিনি তুলে আনলেন তাঁর গানে। বিধবা বিবাহকে বিদ্ধ করলেন রঙ্গ-রসিকতায়। ‘আমার বয়স বাহাত্তর,/ মনের মতো পাত্তর, / আর তো জুটিবে না ঘরে।’ বৈষ্ণব সমাজের ভ্রষ্টাচারকেও ব্যঙ্গ করলেন, ‘গৌরাং ঠাকুরের ভণ্ড চেংড়া / অকালকুষ্মান্ড নেড়া।’ রঙ্গ-তামাসার মধ্যে যে কৌতুক ফুটে উঠেছে, তার সঙ্গে সেই সময়ের বিবর্তিত নাগরিক প্রেক্ষাপট সেভাবে মেলেনি। তাই কলকাতা তাঁকে সেভাবে আসন পেতে না দিলেও গ্রামবাংলায় তাঁর ছিল একাধিপত্য।
বিয়ে করেছিলেন প্রসন্নময়ীকে। কিন্তু স্বাস্থ্য ক্রমেই ভেঙে পড়তে লাগল। প্রসন্নময়ী বললেন, ‘কিছুদিন বিশ্রাম নাও।’ দাশরথী বললেন, ‘বিশ্রাম নিলে হবে না। সামনে অনেক বায়না। যেতেই হবে। না হলে দাশু রায়ের দুর্নাম হবে।’ ১৮৫৭ সালের দুর্গাপুজো। কাশিমবাজারে পালাগানের আসর। কিন্তু আসরের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন। বাড়ি আনা হল। চিকিৎসা চলল। কিন্তু অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যেতে লাগল। অবশেষে মাত্র ৫২ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হলেন।
কে গাইবে দাশরথীর গান! এগিয়ে এলেন তাঁর ছোটভাই তিনকড়ি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তিনিও মারা গেলেন। এবার তাঁর দলের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এলেন কৃষ্ণনগরের বাণীকণ্ঠ বসু। কিন্তু দাশু রায়ের গানকে ধরে রাখার প্রতিভা তাঁর ছিল না। তাই হারিয়ে গেল দাশু রায়ের দল। কিন্তু গানগুলি তাঁর রয়ে গেল। কলকাতার বটতলার প্রেস থেকে তাঁর গানের অনেকগুলি সংস্করণ প্রকাশিত হল। লোকরঞ্জনের ধারায় দাশরথী রায় একটা যুগ হিসাবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে রইলেন। কিন্তু অকাবাঈকে ইতিহাস মনে রাখেনি।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী 
27th  April, 2019
প্রজ্ঞা কালচারাল সেন্টারের দুটি নাটক

 সম্প্রতি আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে একদিনের নাট্যোৎসবে প্রজ্ঞা মঞ্চস্থ করল দুটি নাটক, ‘নাইন মাইলস টু গো’ এবং ‘পতি গয়ে রে কাটিয়াহার’। দুটি নাটকে দুটি ভিন্ন ধরনের বার্তা দেওয়া হয়েছে, যেগুলি সর্বকালের ও সময়ের জন্য খুবই অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক।
বিশদ

06th  July, 2019
 রাজনৈতিক অস্থিরতার দুটি দলিল

সমগ্র দেশ তো বটেই, এই রাজ্যেরও রাজনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। অত্যন্ত উত্তপ্ত। এখন রাজনীতি, মানেই দুর্নীতি, মিথ্যাচার, অপসংস্কৃতি, বিদ্বেষ আর আত্মসম্মানকে বিসর্জন দেওয়া এক মাদারির খেল। আর এই খেলা চলছে দু’টি দলকে কেন্দ্র করে। সাধারণ মানুষ আর রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। এই নেতারা বহুরূপী।
বিশদ

06th  July, 2019
আধুনিক প্রজন্মের আকাশছোঁয়ার চাহিদাই ডেকে আনছে অনর্থ

 বিশ্বায়নের ফলে পৃথিবীটা এখন হাতের মুঠোয় এসে গেছে। মানুষের কাছে এখন সবকিছুই খুব সহজলভ্য হয়েছে। অর্থনৈতিক পরিকাঠামো, সামাজিক পরিস্থিতির চাপে যৌথ পরিবার ভেঙে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট পরিবার বা নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। যেখানে রোজগেরে স্বামী-স্ত্রী আর তাদের সন্তান নিয়েই তৈরি হয় একটি পরিবার।
বিশদ

06th  July, 2019
 কার্টেন কলের আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব

সম্প্রতি ‘কার্টেন কল’-এর ব্যবস্থাপনায় দু’দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়। মঞ্চস্থ হয় বাংলাদেশের নাট্যদল ‘পদাতিক’-এর দু’টি নাটক। প্রথমদিন মঞ্চস্থ হয় ‘কালরাত্রি’। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের উত্তপ্ত, ভয়াবহ দিনগুলোর প্রেক্ষাপটে নাটকের বিস্তার। স্বাধীনতার জন্য আকূল সমস্ত মানুষ।
বিশদ

06th  July, 2019
 ড্রা মে বা জি-২

সম্প্রতি চিলড্রেন থিয়েটার কার্নিভাল ‘ড্রামেবাজি-২’ হয়ে গেল আই সি সি আর-এ। দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস আয়োজিত এই কার্নিভালে শিশুদের জন্য সারাদিনের এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিশদ

06th  July, 2019
পি সি চন্দ্র নাট্যোৎসব 

হাঁসফাঁস করা গরমে এক টুকরো শান্তি নিয়ে এল বাইপাস সংলগ্ন পি সি চন্দ্র গার্ডেনের সবুজের বিস্তার। তিনদিন ব্যাপী নাটকের আসর বসেছিল সবুজঘেরা এই ওয়েসিসে। নিবেদনে পি সি চন্দ্র। 
বিশদ

29th  June, 2019
অস্থির সময়ে বেঁচে থাকার নতুন দিশা 

একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি। সন্ত্রাস, হত্যা চলছে ধর্মের নামে, জাতের নামে। সৃষ্টি হচ্ছে বিভেদ, অসহিষ্ণুতা। যা দেশ, কাল, সময়ের বৃহত্তর গণ্ডি পেরিয়ে উঁকি দিচ্ছে পরিবারে, সম্পর্কে। মানুষ এখন আত্মকেন্দ্রিক, নিজের ভালো ছাড়া আর কিছু দেখে না।  
বিশদ

29th  June, 2019
আসরে মার খেতে খেতে বেঁচে গিয়েছিলেন 

যাত্রার নায়িকা শর্মিষ্ঠা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

বাবা ছিলেন রানিগঞ্জ কোলিয়ারি এলাকার ডাক্তার। বাবার মতোই ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন নমিতা চক্রবর্তী। কিন্তু ঘটনাচক্রে হয়ে গেলেন যাত্রার বিশিষ্ট অভিনেত্রী। মানুষ তাঁকে চেনেন শর্মিষ্ঠা গঙ্গোপাধ্যায় হিসাবে। কোলিয়ারিতে বিভিন্ন যাত্রা দল যায়। 
বিশদ

29th  June, 2019
কালিদাস ও মল্লিকার প্রেমকাহিনী 

অতি সম্প্রতি কালিন্দী নাট্যসৃজন তাদের নবতম প্রযোজনা মোহন রাকেশের ‘আষাঢ়ের প্রথম দিনে’ মঞ্চস্থ করল। প্রসঙ্গত, ঠিক একই সময়ে আরো দুটি নাট্যগোষ্ঠী মোহন রাকেশের অন্য দুটি নাটক মঞ্চস্থ করেছেন।  বিশদ

29th  June, 2019
মেঘনাদ আবার চমকে দিলেন

ভাগীরথীর বুকে জেগে ওঠা এক চর। শহর থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম। নাম ঈশ্বরীপুর। সেই গ্রামের দূষণহীনতার মধ্যে বেড়ে ওঠে সত্যচরণ আর ধূর্জটিনারায়ণ, দুই বন্ধু। যৌবনের শুরুতেই একই গুরুর কাছে তাঁদের রাজনীতির পাঠ নেওয়া। শিক্ষাগুরু নিত্যানন্দ ছিলেন আদর্শবাদী, ন্যায়পরায়ণ। সত্যবাদিতা যার কাছে একমাত্র সত্য। বিশদ

22nd  June, 2019
জাহান্নামের সমাচার 

আপন সৃষ্টিশীলতায় ওরা ছোটছোট বৃত্ত রচনা করে ঘুরে চলেছে। ‘ওরা’ হল – ইফটা, থিয়েলাইট, যাদবপুর মন্থন, দমদম গোত্রহীন, অশোকনগর নাট্যমুখ এবং দমদম শব্দমুগ্ধ। ছোট ছোট স্বাবলম্বী নাটকের দল। স্বাধীন চিন্তাভাবনা, কল্পনা, সৃষ্টিশীলতাকে নিংড়ে, মেজেঘষে, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলার নাট্যমঞ্চকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
বিশদ

22nd  June, 2019
 গঙ্গার ধারে মুক্ত অঙ্গনে নাটক

প্রসেনিয়ামের সাথে কোনও বিরোধিতা নেই, শুধু থিয়েটারের নতুন দিক খোঁজার তাগিদেই এক অভূতপূর্ব সন্ধ্যায় ১৫ই জুন সোদপুর গঙ্গাতীরবর্তী সুখচর পাইন ঠাকুরবাড়ির বিস্তৃত অঙ্গন, অন্দর-বাহির মিলে এক মুক্ত হাওয়ায় যেন এক নতুন ইতিহাস রচিত হল, রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে।
বিশদ

22nd  June, 2019
 নাটকের বই

চন্দন দাশকে নাট্যমোদী মানুষ যতটা চেনেন অভিনেতা এবং নির্দেশক হিসেবে, নাট্যকার হিসেবে ততটা বোধহয় তাঁর পরিচিতি নেই। কিন্তু ঘটনা হল তিনি নাটক লেখেন এবং শুধু নাটকই নয়, কবিতাও তাঁর লেখনী থেকে জন্ম নেয়। ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তাঁর প্রথম নাটক ‘ভুল ঠিকানায়’। ২০১২ সালে সেটি প্রকাশিত হয়।
বিশদ

22nd  June, 2019
 অস্থির সময়ের প্রেক্ষিতে কিছু কথা

  ভোট পরবর্তী হিংসা, হানাহানি, ধর্মীয় সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, এই মুহূর্তে এতটাই বেড়ে গেছে, যা সমাজকে এক ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। চিন্তিত সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে উদ্বিগ্ন, ভীত, চিন্তিত বিদ্ধজনেরা। এই দুশ্চিন্তা, ভয়কে সাধারণের সামনে প্রকাশ করার জন্য এক নাগরিক সভার আয়োজন করেছিলেন বিদদ্বজনেরা। যার শিরোনাম ছিল – এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না।
বিশদ

22nd  June, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: পাত্রের বাড়ির দাবিমতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে না পারায় বিয়ের সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম আতিফা খাতুন (১৬)। ...

 অভিজিৎ চৌধুরী  মালদহ, বিএনএ: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার নানান অশান্তি এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার উপাচার্যকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। আগামী ১৪ই জুলাই কলকাতায় উপাচার্যকে বৈঠকে থাকার জন্য বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ...

  সংবাদদাতা, খড়্গপুর: নারায়ণগড়ের কুশবসান পঞ্চায়েতের গেনুয়া রেড়িপুর গ্রামে বুধবার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৮৩ টাকা ৬৯.৫২ টাকা
পাউন্ড ৮৩.৯৪ টাকা ৮৭.০৭ টাকা
ইউরো ৭৫.৪৬ টাকা ৭৮.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৪,৭৬৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,৯৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৪৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দশমী ৫০/০ রাত্রি ১/৩। স্বাতী ২৭/১১ দিবা ৩/৫৫। সূ উ ৫/২/৪৯, অ ৬/২১/১, অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৩/১ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/২ মধ্যে।
২৫ আষাঢ় ১৪২৬, ১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, নবমী ০/১৫/১৭ প্রাতঃ ৫/৮/৪৭ পরে দশমী ৫৬/১২/২১ রাত্রি ৩/৩১/৪০। স্বাতীনক্ষত্র ৩৫/৩৮/১৯ রাত্রি ৭/১৮/৪, সূ উ ৫/২/৪৪, অ ৬/২৩/১০, অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে, বারবেলা ৪/৪৩/৬ গতে ৬/২৩/১০ মধ্যে, কালবেলা ৩/৩/৩ গতে ৪/৪৩/৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৪২/৫৭ গতে ১/২/৫৪ মধ্যে।
৭ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: খেলাধুলায় বিশেষ সাফল্য। বৃষ: কর্মসূত্রে বিদেশ সফরের সুযোগ। মিথুন: সৃষ্টিশীল কাজে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ...বিশদ

07:03:20 PM

 বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

09:49:59 PM

 বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ড ২১০/২ (৩০ ওভার)

09:41:16 PM

 বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ড ১৪৭/২ (২০ ওভার)

08:55:51 PM

বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ড ৫০/০ (১০ ওভার)

08:00:01 PM