বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে আসেন মমতা। সেই সময় মঞ্চে সজ্জন জিন্দাল, রাজেন ভারতী মিত্তাল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো দেশের শিল্পপতিরা যেমন ছিলেন, তেমন ছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা। বিশ্বমানের আতিথেয়তায় এদিন শুরু হল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। শিল্প সম্মেলনের প্রথম দিনেই প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেল রাজ্য সরকার। লগ্নির আশ্বাসের তালিকায় উঠে এল রিলায়েন্স, আইটিসি, কোকোকোলা বা জিন্দালদের জেএসডব্লু’র মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নাম। নিখুঁত আয়োজনে আর উদ্দীপনায় যেমন চমৎকৃত হলেন ৩৬টি দেশ থেকে আসা অতিথিরা, তেমনই অনুষ্ঠানে ১২টি পার্টনার কান্ট্রিকে সামনে রেখে লগ্নির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তরিকতায় ভরা সরল ভাষায় বোঝালেন, লাল কার্পেট বিছিয়ে শিল্পের দুয়ার খুলে রেখেছেন তিনি। মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দাল, রাজেন ভারতী মিত্তাল থেকে শুরু করে দিকপাল শিল্পপতিরা মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি’ সম্বোধন করে বোঝালেন, বিনিয়োগের জন্য তাঁরা এখন ভরসা করেন দেশের পূর্ব প্রান্তের এই রাজ্যকেই। মমতার বিনিয়োগ বার্তায় তাঁরা উপলব্ধি করলেন, আদতে এখন ‘বাংলা মানে ব্যবসা’।
বিনিয়োগের আশ্বাস না দিলেও, শিল্পমহলের তরফে অনুষ্ঠানের নাড়া বেঁধে দিয়েছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। স্বচ্ছ প্রশাসন, মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের মতো দক্ষ পরিচালক আর তাঁর দূরদর্শিতাই যে বদলে যাওয়া বাংলার ইউএসপি, তা বুঝিয়ে গেলেন তিনি। পরের বক্তা হিসেবেই মাইকের সামনে এলেন মুকেশ আম্বানি। ছোট ও অথচ মনোগ্রাহী বক্তৃতায় ‘মমতা দিদি’কে বোঝালেন, দেশে তাঁদের যে আর্থিক কর্মকাণ্ড, তার ১০ ভাগই তাঁরা রেখেছেন এই বাংলায়। ‘জিও’র হাত ধরে এখানে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ বার্তা দিলেন। বলে গেলেন, ‘লজিস্টিকস’-এও আগামী দু’বছরে তাঁর তরফে লগ্নি আসবে। আম্বানির পরের বক্তা হিসেবে সজ্জন জিন্দাল জানিয়ে দিলেন, জন্ম ও বিবাহ সূত্রে বাংলার প্রতি তাঁর টান অটুট। কাঁচামালের কারণেই যে তাঁরা এখানে ইস্পাত কারখানা গড়তে পারেননি, সে কথা জানিয়েও বিনিয়োগ থেকে সরলেন না। পাম্প স্টোরেজের মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরিতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের পাশাপাশি জানালেন, শালবনীর সিমেন্ট কারখানায় উৎপাদন দ্বিগুণ করতে চান। পরবর্তী বক্তারাও জানালেন বিনিয়োগ-আগ্রহের কথা। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা থেকেই যে রাজ্য লগ্নিমুখী হচ্ছে, তা জানাতে ভুললেন না কেউ । তাঁকে এইচ এনার্জির কর্তা নিরঞ্জন হিরানন্দানি যেমন তকমা দিলেন ‘সুপার সে উপর’, তেমনই ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে আসা আইটিসি’র এমডি সঞ্জীব পুরী বললেন, ‘বাংলা এগিয়ে আছে, এগিয়ে থাকবে’। ছবি: অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়