পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এবারের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে দেশ-বিদেশের অতিথির সংখ্যা মোটেই কম ছিল না। তবুও মূল তারকা ছিলেন মুকেশই। তাই তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশাও ছিল যথেষ্ট। ১০ হাজার কোটি টাকার লগ্নির আশ্বাস দিয়ে বাংলার মান রাখেন তিনি। সেই বিনিয়োগ যে বাস্তবে কার্যকরও হচ্ছে, তাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়। কীভাবে ডেটা’র মাধ্যমে তিনি বাংলার ভোলবদলের ছক কষেছেন, তাও খোলসা করেন সহজ ভাষায়। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে যখন আমি এখানে বাণিজ্য সম্মেলনে আসি, তখন আমাদের বিনিয়োগ ছিল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। এখন সেই বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। গোটা দেশের লগ্নির ১০ ভাগ এখানেই।
গোটা দেশকে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করার জন্য রিলায়েন্সের প্রকল্পটির নাম গিগাফাইবার। সেই কাজটি এ রাজ্যেও জোরালোভাবে হচ্ছে, জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, কাজ শেষ হলে গোটা রাজ্যেই প্রতিটি বাড়ি স্মার্ট হোম হিসেবে চিহ্নিত হতে পারবে। অর্থাৎশুধু ডেটা’কে কাজে লাগিয়েই প্রযুক্তিতে বাঁধা যাবে এক চিলতে ছাদের নীচে বাঙালির এতটুকু বাসাকে। শুধু মোবাইল ফোনেই আপাতত যে নেট দুনিয়ার হাতছানি মিলছে, তখন তা বেঁচে থাকার প্রতিটি ধাপে স্বাচ্ছন্দ্য জোগাবে আমজনতাকে, বুঝিয়েছেন তিনি।
তবে শুধু ডেটা নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রেও যে এ রাজ্যের পাশে আছেন তাঁরা, তাও এদিন জানান মুকেশ। বলেন, আমাদের ৫০০’র বেশি রিটেল স্টোর আছে এখানে। ৪৬টি পেট্রল পাম্প আছে। সবই ছড়িয়ে আছে বাংলার প্রায় ৪০০ শহরে। খুচরো ব্যবসার রসদ জোটাতে এখান থেকে চার হাজার মেট্রিক টন কৃষিজ দ্রব্য কেনেন তাঁরা। ২৫ কোটি জামাকাপড় কেনেন, যা ছোট শিল্পে ইন্ধন দেয়। রাজ্য সরকার আগামী এক বছরের মধ্যে লজিস্টিকস হাবে যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রত্যাশা করে আসছে, সেখানেও কিছু পদক্ষেপ করবে রিলায়েন্স, দাবি করেছেন মুকেশ আম্বানি। এখন রাজ্যে ৩০ লক্ষ বর্গফুট এলাকায় তাঁরা পণ্য গুদামজাত করলেও, সেই পরিধি আরও বাড়বে, আশ্বাস দেন তিনি। তাঁরা আনছেন আরও একটি কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যা দেশের তিন কোটি খুচরো ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়াবে। সেই সুযোগ পাবে বাংলাও। রিলায়েন্সের মাধ্যমে রুটিরুজির সংস্থান করেন, এমন ‘বিজনেস পার্টনার’-এর সংখ্যা এই বাংলায় এক লক্ষ। এর পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামে ব্যবসা নিয়ে যেতে পশ্চিমবঙ্গে রিলায়েন্স চালু করেছে ৩৫০টি ‘জিও পয়েন্ট’। সেই সংখ্যা শীঘ্রই এক হাজার হবে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
মুকেশ আম্বানির স্বপ্ন, ২০৪৭ সালে যখন এদেশে স্বাধীনতার একশো বছর পূর্তি হবে, তখন চীনকে হারিয়ে ভারতের মাথায় উঠবে সেরা অর্থনীতির মুকুট। যেভাবে বাংলার অর্থনৈতিক বহর বাড়ছে, যেভাবে আয় বাড়াচ্ছে সরকার, কৃষকের রোজগার বৃদ্ধি, ছোট শিল্পের এগিয়ে যাওয়া বা বড় শিল্পের বৃদ্ধি যে গতিতে এগচ্ছে, তা ভারতকে সেই সাফল্য পেতে দিশা দেবে, আশাবাদী মুকেশ আম্বানি।